• দরজায় কড়া নাড়লে পাশে থাকব, মমতার বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্যের রিপোর্ট তলব বোসের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • একুশের জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে প্রতিবেশী দেশের পাশে থাকার কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরা উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি। তাই ওখান থেকে ভারতের নাগরিকরা ফিরে আসছেন। বাংলার মানুষজন যাঁরা ওখানে ছিলেন তাঁরাও ফিরে আসছেন। এই বিষয়ে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশের মানুষজন যদি আশ্রয় চান এবং তার জন্য দরজায় কড়া নাড়েন তাহলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। এবার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন।

    এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ চার বিধায়কের শপথ নিয়ে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না রাজ্যপালকে, অথচ যে বক্তব্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রেখেছেন তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করে বসলেন। রাজভবন বনাম নবান্ন সংঘাত দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এবার সরাসরি রাজ্যপাল–মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আসলে ১৯৫১ সালে গৃহীত রাষ্ট্রসংঘের রিফিউজি কনভেনশনের প্রস্তাব এবং ১৯৬১ সালের প্রোটকলের কথা বলতে চেয়েছেন। যেখানে রিফিউজির সংজ্ঞা এবং তাদের প্রতি অন্য দেশের করণীয় সম্পর্কে বলা আছে। সেখানে বলা আছে, কোনও ব্যক্তি কোনও দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে অন্য একটি দেশে আশ্রয় চাইলে কোনও অবস্থাতেই তাঁকে তাঁর আগের দেশে জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: চার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ঝাঁঝালো বক্তব্যে সরগরম সংসদ, কী দাবি তুললেন তাঁরা?‌

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‌বাংলাদেশে যদি ভারতীয় কেউ আটকে থাকেন, আমরা তাঁদের ফেরাবার ব্যবস্থা করব। তার বেশি আমি কিছু বলতে পারি না। ওটা যা বলার ভারত সরকার বলবে। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি, বিপদে পড়ে কেউ যদি আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে, আমরা তাঁদের পাশে থাকব। এটা আমার কথা নয়। এটায় রাষ্ট্রসংঘের কনভেনশনের প্রস্তাবে আছে। যেখানে বলা আছে, বিপদে পড়ে কেউ আশ্রয় চাইলে তাঁকে আশ্রয় দিতে হবে।’‌

    আর রাজ্যপাল কী বলেছেন?‌ আজ সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই রিপোর্ট চেয়েছেন। যেখানে রাজভবন থেকে যে বিবৃতি গিয়েছে সেখানে লেখা আছে, ‘‌রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী। কীসের ভিত্তিতে সাংবিধানিক অধিকারকে উপেক্ষা করে এমন প্রকাশ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া এমন পদক্ষেপ কেমন করে নেওয়া হচ্ছে!‌ দেশে প্রত্যাশিত অভিবাসনের ধরণ বাংলার সীমান্ত অঞ্চলে জীবনযাত্রার স্বাভাবিকতাকে প্রভাবিত না করে এবং রাজ্যের জনসংখ্যার ভারসাম্যকে প্রভাবিত না করে না সেটা দেখার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)