সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার পলিটেকনিকের পাশে পুরসভার ফেলা বর্জ্যের স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। জনবসতি এলাকায় দুর্গন্ধের জেরে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ পড়ুয়ারা। কিন্তু, তারপরেও বর্জ্য সরাতে পুরসভা কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পুরসভা অবশ্য বর্জ্য শীঘ্রই সরানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ আলিপুরদুয়ারের রাধামাধব মন্দিরের পাশে একটি খাস জমিতে পুরসভা বর্জ্য ফেলেছিল। প্রাচীর ঘেরা ওই জমিতে পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের সংগৃহীত পচন ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করা হতো। তবে এখন আর সেখানে বর্জ্য পৃথকীকরণ হয় না। কিন্তু, দীর্ঘদিন আগে পুরসভার ফেলা বর্জ্যের সেই স্তূপ এখনও সেখানে রয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মাঝেরডাবরি চা বাগানে পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হয়েছে। তারপরেও পলিটেকনিক কলেজের পাশে ফেলে রাখা বর্জ্য এসডব্লুএম প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বাসিন্দারা বলেন, এখন বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। রোদ উঠতেই বর্জ্যের স্তূপ থেকে চারপাশে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। শুধু স্থানীয়রা বা পলিটেকনিকের পড়ুয়ারাই নয়। সংলগ্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও পাশের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ বাসিন্দারাও বর্জ্যের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পলিটেকনিক কলেজ থেকে ওই বর্জ্যের স্তূপের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কম। ফলে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা কলেজ চত্বরেই। পলিটেকনিকের রাস্তা দিয়ে হাঁটা চলার সময় বাসিন্দারা নাকে রুমাল চাপা দেন। সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়ারাও।
পাশের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিক জ্যোতির্ময় রায় বলেন, বর্জ্যের গন্ধ আমাদের ওয়ার্ডেও ছড়িয়ে পড়ছে। পলিটেকনিকের পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, পুরসভা ওই বর্জ্য অনেকদিন আগে ফেলেছিল। এসডব্লুএম প্রকল্পে পুরসভা ওই বর্জ্য কেন সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না আমরা তা বুঝতে পারছি না।
যদিও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ করের সাফাই, আসলে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে পলিটেকনিকের পাশের ওই বর্জ্য সরাতে দেরি হচ্ছে। তবে দ্রুত ওই বর্জ্য এসডব্লুএম প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র