• ইসলামপুরে বহু জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে স্পিড ব্রেকার, ভোগান্তি বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় একাধিক জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। ফলে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছেন বাসিন্দারা। কোথাও দু’হাত দূরত্বের ব্যবধানে, কোথাও বা ১০ হাত দূরত্বে দু’টি স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনের উপর বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই যত্রতত্র স্পিড ব্রেকার দিয়ে বাসিন্দাদের বেকায়দায় ফেলেছে। তাই একটি করে ব্রেকার সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা অফিসের সামনের রাস্তাটি দিয়ে শ্রমদপ্তরের দিকে যেতে পাঁচ হাতের ব্যবধানে দু’টি স্পিড ব্রেকার রয়েছে। একটি সিমেন্টের ঢালাই করা অপরটি ফাইবারের। ওই রাস্তা দিয়ে কয়েক পা এগলেই শ্রমদপ্তরের অফিস। সেখানেও একটি সিমেন্টের স্পিড ব্রেকার আছে। তার কয়েক হাতের মধ্যেই আবার ফাইবারের ব্রেকার দেওয়া হয়েছে। ওই রাস্তা থেকেই একটি রাস্তা বের হয়ে রবীন্দ্রপল্লি মোড়ের দিকে গিয়েছে। রাস্তাটির শুরুতেই একটি সিমেন্টর ব্রেকার রয়েছে। তার দু’হাত দূরত্বেই ফাইবারের  ব্রেকার। এর ফলে বাইক, টোটো সহ অন্যান্য ছোট চাকার যানবাহনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। ফাইবারের ব্রেকার একটি নিচু হলেও সিমেন্টর ব্রেকার অনেকটাই উঁচু। এতে টোটো যাত্রীদের ক্ষেত্রে জোরদার ঝাঁকুনি সহ্য করতে হয়। যানবাহনের যন্ত্রাংশেও প্রভাব পড়ে।


    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ওই এলাকায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটত। তাই পুরসভা থেকে সিমেন্টের ব্রেকার দেওয়া হয়। তার পাশেই আবার ট্রাফিক পুলিসের উদ্যোগে ফাইবারের ব্রেকার দেওয়া হয়েছে।


    ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, যখন স্পিড ব্রেকার ছিল না তখনও সমস্যা ছিল। পরে ব্রেকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি স্পিড ব্রেকার থাকলেই হতো, কিন্তু সেখানে দু’টি হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি দেখছি। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক আবদুল সাহিদ বলেন, পূর্তদপ্তর ড্রয়িং মেনে কাজ করে। স্পিড ব্রেকারের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
  • Link to this news (বর্তমান)