• শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার বাণেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালতে ব্যাপক ভিড়
    বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারই ভিড় উপচে পড়ল কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বাণেশ্বর শিবমন্দিরে। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য রবিবার রাত ১২টা থেকে মন্দির খুলে দেওয়া হয়। অন্যান্য সময়ে সকাল ৯টায় মন্দির খোলে। এদিন সারাদিনই ব্যাপক ভিড় ছিল। ছয় হাজারেরও বেশি ভক্ত এদিন বাণেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো দিয়েছেন বলে দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 


    এই বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীর ভিড় ও বিপুল আয়োজনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত আটজনকে বাণেশ্বর শিবমন্দিরে পাঠানো হয়। সবমিলিয়ে মন্দির ও সংলগ্ন এলাকা জমজমাট হয়ে ওঠে। অপরদিকে, দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা ধলুয়াবাড়ির শিবমন্দিরেও অতিরিক্ত কর্মী পাঠানো হয়। সেখানেও শিবের মাথায় জল ঢালার ব্যবস্থা ছিল। 


    কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার বাণেশ্বর শিবমন্দিরে ব্যাপক ভিড় হয়েছে। প্রচুর ভক্ত এদিন শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো দেন। দুপুর পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি কুপন কাটা হয়েছে। শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবারই শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এজন্য অতিরিক্ত কর্মীও নিযুক্ত করা হয়েছে। ধলুয়াবাড়ি শিবমন্দিরেও অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয়েছে। 


    কোচবিহার শহর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে বাণেশ্বর শিবমন্দির। বহু প্রাচীন ওই মন্দিরেই অধিষ্ঠিত আছেন বাণেশ্বর শিব। মন্দিরটি দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে রয়েছে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে শিবদিঘি। এই শিবদিঘিতেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহন (কচ্ছপ)। যা এই মন্দিরকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। বহু প্রাচীনকাল থেকে মোহনরা শিবদিঘিতে বসবাস করায় বর্তমানে তাদের বিস্তার আশপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে শিবদিঘিতে যে বিপুল মোহন রয়েছে, তা দেখতে সারাবছরই বহু মানুষের সমাগম হয়। এমন প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাণেশ্বর শিবমন্দিরে প্রতিবছরই শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। যা প্রতি সোমবার আরও বৃদ্ধি পায়। এদিকে রবিবার রাত থেকেই এখানে পুরুষ-মহিলা ভক্তদের ভিড় শুরু হয়। দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত এখানে এসে উপস্থিত হন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা পুজো দেন। সেই কথা মাথায় রেখেই দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে রাত ১২টার পর মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। সেই সময় থেকেই শিবের মাথায় জল ঢালা শুরু হয়ে যায়। যা এদিন বেলা পর্যন্ত চলে। 


    এদিকে, কোচবিহার-১ ব্লকের ধলুয়াবাড়ি শিবমন্দিরটিও বহু প্রাচীন। সেখানেও নিয়মিত পুজো হয়। স্থানীয়রা শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো করার জন্য এখানেও ভিড় জমান। দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখানেও চারজন অতিরিক্ত কর্মীকে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)