• পুলিস-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের চারদিন পরও আতঙ্ক এনায়েতপুরে
    বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: পুলিস-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের চারদিন পরেও আতঙ্ক কাটেনি এনায়েতপুরে। বিদ্যুত্ পরিষেবাজনিত সমস্যার প্রতিবাদে পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে মানিকচকের এনায়েতপুরের পরিস্থিতি দফায় দফায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বৃহস্পতিবার। এনায়েতপুরে স্কুলটাইমে দুই হাইস্কুল চত্বরে ছড়িয়ে পড়েছিল সংঘর্ষ। তার প্রভাব দেখা গেল সপ্তাহের প্রথমদিন- সোমবারও। সংঘর্ষের চারদিন পরও ভীতি কাটেনি ছাত্রছাত্রীদের। এদিনও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল একবারে নামমাত্র।


    মানিকচকের এনায়েতপুরে দুটি স্কুল। এনায়েতপুর হাইস্কুল ও এনায়েতপুর ইএ হাইস্কুল। দুই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ১৫০০ ও ২৫০০। সোমবার এনায়েতপুর হাইস্কুলে মাত্র ৫৫ জন ছাত্র উপস্থিত ছিল। ইএ হাইস্কুলে এসেছিল সাড়ে তিনশো পড়ুয়া। চারদিন পরেও ছাত্রছাত্রীরা স্কুলমুখী না হওয়ায় চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এনায়েতপুর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার বলেন, ছাত্রছাত্রীরা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম কয়েকদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু চারদিন  পরও একই পরিবেশ। আতঙ্কের আবহ। দুই স্কুল কর্তৃপক্ষই চাইছে, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক। এনায়েতপুর ইএ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরাও ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। তাদের স্কুলে আসতে বলছি। অভিভাবকদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে বলছি। তবে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকে তাকিয়ে শিক্ষকরা। 


    এদিকে এলাকার পরিবেশ শান্ত করতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মানিকচক পঞ্চায়েতের প্রধান, সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হন। প্রধান তপতী মজুমদার বলেন, সেদিনের ঘটনায় জড়িতদের পুলিস দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। তবে যারা জড়িত নয়, তাদের যেন রেহাই দেওয়া হয়। 


    প্রধানের বক্তব্য, পুলিস যেভাবে ধরপাকড় চালাচ্ছে, তাতে আতঙ্কে মানুষ গ্রামছাড়া। এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের মিরাগ্রাম, মোমিনটোলা এলাকা প্রায় পুরুষ শূন্য। যাকে ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে। প্রশাসন দ্রুত শান্তি বৈঠক করে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক করুক। চাইছেন এনায়েতপুরের আমজনতাও। 


    বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর থেকে এনায়েতপুরের দুটি স্কুলেই ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি একেবারে নামমাত্র। শুক্রবার কোনও ছাত্রছাত্রীই স্কুলে আসেনি। শনিবার একটি স্কুলে ১৮ জন এসেছিল। অপর স্কুলে ২০০জন এসেছিল। সোমবারও খুবই কম পড়ুয়া স্কুলে আসায় চিন্তায় শিক্ষকরাও। জেলা ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পুলিস মোতায়েন রয়েছে। এলাকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চলছে টহলদারি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসনও। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)