শহরে দপ্তর তৈরির বার্তা ওলা-উবেরকে, বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী
এই সময় | ২৩ জুলাই ২০২৪
এই সময়: অ্যাপ-ক্যাব সার্ভিস প্রোভাইডারদের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কলকাতায় ব্যবসা করতে হলে শহরে পাকা অফিস তৈরি করতে হবে। এমন অফিস, যেখানে কোনও সমস্যায় পড়লে যাত্রীরা সমাধানের জন্য গিয়ে দাঁড়াতে পারেন। যাত্রীদের সুবিধের জন্য চালু করতে হবে ২৪x৭ কাস্টমার কেয়ারও।অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু সমাধান মিলবে কোথায়, তা জানেন না যাত্রীরা। অ্যাপে অভিযোগ জানানোর একটা উপায় রয়েছে বটে, কিন্তু তাতে আদৌ কোনও কাজ হয় কি না, তারও কোনও সদুত্তর নেই। কারণ একটাই— শহরে অ্যাপ-ক্যাব সার্ভিস প্রোভাইডারদের কোনও অফিসই নেই। যাত্রীদের সুবিধের জন্য দিনরাতের কাস্টমার কেয়ার পরিষেবাও অমিল।
অথচ, কলকাতায় ওলা বা উবরের মতো অ্যাপ-ক্যাবে যাত্রীর অভাব নেই। অতীতে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও দেশের এই দুই বৃহত্তম অ্যাপ-ক্যাব সার্ভিস প্রোভাইডার কলকাতায় কোনও অফিস তৈরি করেনি। সোমবার বিশেষ এক বৈঠকে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী তাদের জানালেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মকে মান্যতা দিয়েই বাংলায় ব্যবসা করতে হবে।
সোমবার রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অনলাইন অ্যাপ-ক্যাব সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ট্যাক্সিচালকদের সব ক’টি সংগঠনকে। কী ভাবে যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক।
সেখানেই পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের পরিষেবা অগ্রাধিকার পাবে, এটা মনে রেখেই আপনারা নিজেদের কাজের ধরনের পরিকল্পনা করুন। অ্যাপ-ক্যাব সার্ভিস প্রোভাইডারদের শহরে অফিস তৈরি করে কাজ করতে হবে।’
বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে অ্যাপ-ক্যাব চালকদের সংগঠন ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অ্যাপ-ক্যাবের কোনও ফেয়ার স্ট্রাকচার নেই। স্ট্রাকচার থাকলে যাত্রী ও চালক— উভয়েরই সুবিধে।’
ওই বৈঠকেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্গাপুর থেকে পাইপে সিএনজি শহরের নিয়ে আসার সমস্যার সমাধান হয়েছে। শহরের প্রতিদিন ৫১ টন সিএনজি-র চাহিদা রয়েছে। দৈনিক জোগান ১৬ টন। দু’মাসের মধ্যেই সিএনজি পাইপে কল্যাণী পর্যন্ত আনা সম্ভব হবে। তারপর সিএনজি-চালিত গাড়ির জ্বালানির সমস্যা অনেকটাই মিটবে।