পার্পল লাইনের কাজে গতি, সুড়ঙ্গ নির্মাণে জোড়া টিবিএম
এই সময় | ২৩ জুলাই ২০২৪
এই সময়: কর্মযজ্ঞ মাটির প্রায় ১৫ মিটার গভীরে। কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইন অর্থাৎ জোকা-বিবাদী বাগ লাইনের ভিক্টোরিয়া স্টেশনে যে ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরির কাজ চলছে, সেই কাজের ২৪% ইতিমধ্যেই শেষ। জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত অংশে মেট্রো চলাচল শুরু হওয়ার পরে শুধু ভিক্টোরিয়া স্টেশন নয়, লাইনের বিভিন্ন অংশেই কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।তার মধ্যে ভূগর্ভস্থ ভিক্টোরিয়া স্টেশনের ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরির অংশটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে নির্মাণকারীদের কাছে। মাঝেরহাট থেকে বিবাদীবাগ — বাকি রয়েছে মাত্র ৭.৫৫ কিলোমিটার অংশের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে মাঝেরহাট থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত ২.৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত অংশ এলিভেটেড এবং বাকি ৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি অংশ ভূগর্ভস্থ।
পার্পল লাইনের ভূগর্ভস্থ অংশটি তৈরির জন্য দু’ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে বলে জানাচ্ছেন কলকাতা মেট্রোর কর্তারা। খিদিরপুর স্টেশন থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত অংশের সুড়ঙ্গ টানেল বোরিং মেশিনের সাহায্য তৈরি করা হবে। বাকি অংশের কাজ হবে ‘কাট অ্যান্ড ফিল’ পদ্ধতিতে। এই কায়দাতেই চার দশক আগে কলকাতায় মেট্রোর সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছিল।
পার্পল লাইনের মোমিনপুর স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপরে এখনকার মোমিনপুর বাসস্টপের কাছেই। এরপরেই মেট্রোর ট্র্যাক মাটির নীচে ঢুকে পড়বে। পরের স্টেশন খিদিরপুর তৈরি হবে সেন্ট টমাস স্কুলের বয়েজ় গেটের ঠিক নীচে। মাটির নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ কাটার জন্য নির্মাণকারী সংস্থা স্কুল কম্পাউন্ডের মধ্যেই তৈরি করছে শাফট। এই শাফট দিয়েই মাটির নীচে নামিয়ে দেওয়া হবে দু’টি টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)।
আপ ও ডাউন দুই লাইনের জোড়া সুড়ঙ্গ সেন্ট টমাস স্কুলের চৌহদ্দি পার করে টালি নালার নীচ দিয়ে ময়দান পেরিয়ে চলে যাবে ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত। সেখান থেকে বাঁ-দিকে ঘুরে সুড়ঙ্গ আসবে পার্ক স্ট্রিটের দিকে। কলকাতা মেট্রো জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ স্টেশন তৈরির সময়ে যাতে চারপাশ ধসে না পড়ে সে জন্য ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরি করা হয়। এই দেওয়ালই স্টেশনকে স্থায়িত্ব দেয়।
ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশনে যে ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরি করা হবে, তার দৈর্ঘ্য ৭০৯ মিটার। এখনও পর্যন্ত তা ১৭০ মিটার পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশনটি ৩২৫ মিটার দীর্ঘ হবে। এই স্টেশন তৈরির ভার দেওয়া হয়েছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডকে।