'ওপারে ফিরতেই হবে...', দেশে ফিরেও 'অস্থির' তামান্না-নওসিনরা
এই সময় | ২৩ জুলাই ২০২৪
'বাবা-মা রক্ত জল করা টাকা দিয়ে পড়তে পাঠিয়েছে, ফিরতে আমাদের হবেই...'
অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ফিরেও শান্তি নেই তামান্না-নওসিনদের। পরিবার লাখ লাখ টাকা খরচ করে ভর্তি করেছিল বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজে। তাই পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কলেজ শুরু হলেই ওপার বাংলায় ফিরে যেতেই হবে, চিন্তায় ভারতীয় পড়ুয়ারা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, এখনও শান্ত নয় ওপার বাংলা।বাংলাদেশে এমবিবিএস পড়তে যান ভারতের বহু পড়ুয়া। ওপার বাংলা অশান্ত হওয়ার পর অনেকেই দেশে ফিরছেন। সোমবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন বীরভূমের তামান্না পারভিন, ভগবানগোলার নওসিন আহমেদ। এই দুই ছাত্রীই ওপার বাংলায় মেডিক্যাল পড়ুয়া। সুরক্ষিতভাবে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি তাঁরা। কিন্তু, একই সঙ্গে ডিগ্রি নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাঁদের।
তামান্না বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকার সময় প্রায় এক সপ্তাহ আমরা রুমের বাইরে বার হতে পারিনি। সেখানে পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত যে বিদেশি পড়ুয়া হলেও আন্দোলনকারীদের রোষানল থেকে মুক্তি পাওয়ার জায়গা নেই।’ ভারতীয় হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে ত্রিপুরা হয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন এই ছাত্রী।
কিন্তু, বাড়ি ফিরেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন না তামান্না। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিজেদের সবটুকু দিয়ে আমাদের পড়াশোনা শেখাচ্ছে। তাই পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, বাংলাদেশে আমাকে ফিরে যেতেই হবে। পড়াশোনা শেষ না করে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরার কোনও সম্ভাবনাই নেই।’
এদিকে বাংলাদেশ থেকে সোমবার রাতে ভগবানগোলায় নিজের বাড়ি ফিরেছেন নওসিন আহম্মেদ। বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি কাঁপা কাঁপা গলায় বর্ণনা করলেন এই ছাত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের হস্টেলে নিরাপদে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, বাইরের দৃশ্যগুলো এখনও চোখের সামনে ভাসছে।' কাঁপা গলায় তিনি বলেন, 'চোখের সামনে এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য দেখেছি।' তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের তিনি ফিরে যাবেন বলে জানান এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।