• ‘‌চার বিধায়কের শপথ ন্যাচরাল জাস্টিস’‌, রাজ্যপালকে পাত্তা না দিয়ে মন্তব্য অধ্যক্ষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • আজ, মঙ্গলবার সদ্য নির্বাচিত চার বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ করালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কদিন আগেই রাজ্যপালের পরামর্শ উপেক্ষা করে দুই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। আর আজ, মঙ্গলবার বিধানসভায় শপথ নিলেন চার নতুন বিধায়ক। রাজভবনের আপত্তিকে পাত্তাই দিল না বিধানসভা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথবাক্য পাঠ করালেন সুপ্তি পাণ্ডে, কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী এবং মধুপর্ণা ঠাকুরকে। সুতরাং সবাই এবার বিধানসভার সদস্য হয়ে গেলেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি হল।

    এই নবনির্বাচিত চারজন বিধায়কের শপথ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। রাজ্যপালের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমার যা বলার আমি বলে দিয়েছি। গতকাল আমাদের বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নবনির্বাচিত চারজন সদস্যকে আমরা আজকে শপথ গ্রহণ করাবো। সেটা হয়েছে। রাজ্যপাল কি বলেছেন আমি বলতে পারব না। বিধানসভা নিজস্ব নিয়ম মেনে চলবে। সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে বিধানসভা নিজের মতো করে চলবে। তাতে কোন অসংবিধানিক কিছু আছে আমি মানতে পারি না। রাজ্যপাল অসংবিধানিক বলেছেন সেটা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।’‌

    গতকাল সোমবার রাজ্যপাল দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের বলা হয়েছিল, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। কারণ তাঁদের শপথ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। তাই এর পরও যদি বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেন তাহলে জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। আর এই বিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌শপথ যে হবে সেটা আগেই জানানো হয়েছিল। রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে চিঠি এসেছিল যে তাঁরা নাকি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু আইন অনুযায়ী তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। চার বিধায়কের শপথ বিধানসভার রুল অনুযায়ী হয়। এই বিষয়ে যথাযথ রুলিং আছে। এই চার বিধায়কের শপথ হল ন্যাচরাল জাস্টিস। তাঁদের এলাকার মানুষের জন্য।’‌

    এছাড়া বাংলায় শপথ নিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ইংরেজিতে শপথবাক্য পাঠ করলেন মুকুটমণি অধিকারী। হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়ে শপথ নিলেন মধুপর্ণা ঠাকুর ইংরেজিতে। আর সুপ্তি পাণ্ডে ইংরেজিতে শপথ নেন। আজ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌আজ অধিবেশনে থাকব আমরা। আর জরিমানা কাকে কীভাবে দিতে হবে সেসব বলা নেই। ফলে যা হবে দেখা যাবে।’‌ সুতরাং কোণঠাসা করে দেওয়া হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। বিধানসভায় সেই ছবিই ধরা পড়ল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)