মদ্যপ অবস্থায় কাজ করার অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে, কোচবিহারে শোরগোল
এই সময় | ২৪ জুলাই ২০২৪
মদ্যপ অবস্থায় কাজ করার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি থানায়। এদিকে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পালটা অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে এই দাবিতে সিভিক ভলান্টিয়াররা থানার সামনে প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। যদিও কোচবিহারের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মদ্যপ ছিলেন।পুন্ডিবাড়ি থানার তরফে জানানো হয়, সোমবার রাতে সন্তোষ দাস নামক এক সিভিক ভলান্টিয়ার স্থানীয় বাজারে ডিউটি করছিলেন। কিন্তু, মদ্যপ ছিলেন তিনি। ওই দিন রাতে খাগড়াবাড়ি এলাকায় এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিতে যাচ্ছিল পুলিশ। এই সময় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার রওনা দিলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়েছিল।
যদিও পুন্ডিবাড়ি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় পুন্ডিবাড়ি হাসপাতালে। তাতে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তিনি মদ্যপ ছিলেন।' তাঁকে মারধরের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। যদিও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সন্তোষ দাস দাবি করেন, 'আমি মদ্যপ ছিলাম না। রাতে তল্লাশিতে যাওয়ার আগে ওই মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া অপর অভিযুক্তকে থানার সামনে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় মারধর করেন এসআইরা। তাঁর বুকে এবং পিঠে আঘাত লাগে।' পুন্ডিবাড়ি থানা ও বাজারের রাস্তায় ওই সিভিক ভলিন্টিয়ারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দাবি করেন, তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি। এদিকে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। তিনি যে মদ্যপ ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।