• 'লাইনে চলুন, বেলাইন হবেন না', শপথ-সংঘাতে রাজ্যপালকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর!
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ জুলাই ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যপালকে ছাড়াই এবার বিধানসভায় শপথ নিলেন চার বিধায়ক। 'আমি বলব লাইনে চলুন, বেলাইন হবেন না', বোসকে নিশানাকে করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'মন্ত্রীদের শপথ রাজভবনে, বিধায়কের শপথ হয় বিধানসভায়'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? লোকসভা ভোটের পর উপনির্বাচন হয়েছে রাজ্যের আরও ৪ কেন্দ্রে। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা ও কলকাতার মানিকতলা।  রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণি অধিকারী, বাগদায় মধুপর্ণা ঠাকুর ও মানিকতলায় সুপ্তি পাণ্ডে জিতেছেন। আজ, মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই ৪ জয়ী প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করালেন স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।

    শপথ-গ্রহণ পর্ব তখন শেষ। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'মন্ত্রীদের শপথ রাজভবনে, বিধায়কের শপথ হয় বিধানসভায়। আমি বলব লাইনে চলুন, বেলাইন হবেন না। রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন না। আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেবে কে? ৫০০ টাকা করে পেনাল্টি করছেন, এটা তো ব্রিটিশ আইন।  আপনার কি টাকার খুব প্রয়োজন? বলতে পারেন, ব্যবস্থা করে দেব। রাজভবন সিলেক্টেড, বিধানসভা ইলেক্টেড'।

    এদিন বিধানসভা শপথ-গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে বিজেপি। দলের বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, 'এবার যে চারজন শপথ বাক্য পাঠ করলেন,  এবার তো গণতন্ত্রের প্রহসনের মূর্ত প্রতীক! প্রতি বুথে বুথের খেলা হয়েছে এই উপনির্বাচনগুলিতে। তাঁরা জয়ী হয়ে এসেছেন, তাঁদের শপথ করাচ্ছেন কে? রাজ্যপাল নাকি রাজ্যপালের মনোনীত লোক, কেউ করাননি। সংবিধানের নির্দেশ উপেক্ষা করে যে অনৈতিক ও অসংবিধানিক শপথ গ্রহণ হয়েছে, আমরা তাঁর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত হতে চাইনি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত ছিলাম'।

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া, 'এই মন্তব্য রুচিসম্মত? পরবর্তীকালে আমার এই প্রশ্নে জিজ্ঞাস্য থাকল, যখন বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে বিধানসভা ভাঙচুর করেছিলেন, সেই ভাঙচুরের পয়সা দেওয়ার দায়িত্ব কার? ফলে মুখ্য়মন্ত্রী যিনি সংবিধানে নামে শপথ নিয়েছে, তিনি আগে নিজের লাইনটা ঠিক করুন। আসলে তিনি মিথ্য়ার জাহাজ। একই মিথ্যা কথা, বারবার নতুন নতুন করে বলেন। সেটা পরিবেশিত হয়, সত্য চাপা পড়ে যায়। সত্য তো চিরকাল চাপা থাকতে পারে না, আজ নয় কাল সামনে আসবে'।

    এর আগে, গতকাল সোমবারই কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উপনির্বাচনে জয়ী চার প্রার্থীকে বিধানসভাতেই শপথ বাক্য পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে চেয়ে রাজভবনে শেষ যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই চিঠির কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। 

    এদিকে বরানগর ও  ভগবানগোলের বিধায়ককে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, তিনি যাকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি অন্য ব্য়ক্তির কাছ থেকে কেন শপথ নিয়েছেন? চিঠিতে আরও উল্লেখ, '২ বিধায়কের শপথ অসংবিধানিক। শপথ না দিয়ে যদি বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেন, তাহলে জরিমানা করা হবে'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)