কলকাতার বড় বড় পুজোগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় কলকাতা পুলিশকে। এ বছর প্রত্যেক পুজো কমিটিকে তাঁদের থিম পুলিশকে আগে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো, কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটিকে চিঠি দিল কলকাতা পুলিশ।দুর্গাপুজোর আগেই আগাম পুজোর থিম জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। পুজোর সময় ভিড় নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই মর্মে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত দু’বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। বেশ কিছুক্ষণ ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছিল মণ্ডপের আলো। বন্ধ রাখা হয়েছিল জনসাধারণের প্রবেশ। এবার আগেভাগেই পুলিশের তরফে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে এই পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শেষে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ জানিয়ে দেন, প্রতিটি পুজো কমিটিগুলি কী থিম করছে তা জানাতে হবে স্থানীয় থানায়।
এছাড়াও লালবাজারের তরফে থেকেও প্রতিটি পুজো কমিটিগুলোকে জিজ্ঞাসা করা হবে তাঁদের পুজোর থিমের পরিকল্পনা। পুজো প্যান্ডেলগুলোতে, কত বড় এন্ট্রি-এক্সিট গেট তৈরি হবে সেটা জানতে হবে লালবাজারকে। পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পুলিশ খতিয়ে দেখবে পুজো প্যান্ডেলগুলি। পুজো প্যান্ডেলের কাজ শেষ হওয়ার আগেই যুগ্ম কমিশনাররা পরিদর্শন করবেন পুজো মণ্ডপগুলি।
লালবাজারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্যান্ডেল পরিদর্শনের আগেই স্থানীয় থানাগুলোর সঙ্গে পুজো কমিটিগুলি যোগাযোগ রাখবে। পুজো কমিটিগুলি ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তাঁদের পরিকল্পনা আগে থেকেই স্থানীয় থানাগুলোকে জানাবেন। বড় কোনও প্যান্ডেল বা প্যান্ডেলের লেজার লাইট বা প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের বিষয় থাকলে তা আগে থেকেই জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে। যাতে দর্শনার্থীরা পদপিষ্ট না হন, তার জন্য আগে থেকেই সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে স্থানীয় থানাগুলোকে। কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের আওতাভুক্ত সমস্ত ডিভিশন এবং থানাগুলোতে।