• নেওড়া চা বাগানে বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ফের ধরা পড়ল চিতাবাঘ, চারদিনে দ্বিতীয়বার ...
    আজকাল | ২৪ জুলাই ২০২৪
  • অতীশ সেন, ডুয়ার্স: আবারও নেওড়া চা বাগানে বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল চিতাবাঘ। বিগত শুক্রবার এই বাগানে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ ধরা পড়েছিল। তারপর ফের খাঁচা পাতা হলে চার দিনের মাথায় সেই খাঁচায় একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ ধরা পড়ল।

    জানা গিয়েছে, গত কয়দিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের নেওড়া চা বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়েছিল। সন্ধ্যা নামলেই শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে গরু, ছাগলের উপর আক্রমণ করছিল চিতাবাঘ। ফলে শ্রমিক মহল্লায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল। বাধ্য হয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ মালবাজার বন দপ্তরে যোগাযোগ করলে বন দপ্তর চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করে।

    গত সোমবার ছাগলের টোপ দিয়ে চা বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রুত ১৬ নম্বর সেকশান সংলগ্ন এলাকায় একটি খাঁচা পাতা হয়েছিল। ৪ দিনের মাথায় শুক্রবার সাতসকালে সেই খাঁচাতেই একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ বন্দী হয়। চা বাগানে আরও কয়েকটি চিতাবাঘ ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বলে শ্রমিকেরা জানান। এর পর বাগান কর্তৃপক্ষের অনুরোধে চা বাগানে আবারও একটি খাঁচা পাতেন। বাগানের ৩ নম্বর সেকশান সংলগ্ন এলাকায় পাতা সেই খাঁচায় মঙ্গলবার আরেকটি চিতাবাঘ ধরা পড়ল।

    জঙ্গলের পাশাপাশি ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিও এখন চিতাবাঘের স্বাভাবিক বাসভূমিতে পরিণত হয়েছে। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় শুনশান চা বাগানের নিকাশি নালায় ডেরা গেড়ে থাকতে চিতাবাঘ পছন্দ করে। সন্তান প্রসব ও প্রতিপালন করার জন্য মা চিতাবাঘ চা বাগানের নিকাশি নালাগুলিকে বেছে নেয়। ফলে চা বাগানে কাঁচা চা পাতা তোলা কিম্বা চা গাছের পরিচর্যার কাজ করতে গিয়ে চিতাবাঘের কাছাকাছি শ্রমিকেরা চলে গেলে, অনেক সময়েই চিতাবাঘের হামলায় শ্রমিকদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে।

    এদিন সকালে শ্রমিকরা খাঁচায় বন্দী অবস্থায় চিতাবাঘটিকে দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে সেখানে ভিড় জমে যায়। বনদপ্তরের মালবাজার স্কোয়ার্ডের আধিকারিক ও কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাঁচা সমেত চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। বনদপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর সেটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবারই চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)