ফলের ক্রেটের নীচে থেকে নবগ্রামে উদ্ধার ১৪৬ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার ২
বর্তমান | ২৪ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, লালবাগ: পুলিসের চোখে ফাঁকি দিতে পিকআপ ভ্যানে রাখা গাঁজা ভর্তি বস্তাগুলির উপর খালি ফলের ক্রেট সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিসের নাকা তল্লাশিতে পর্দা ফাঁস হল। মঙ্গলবার দুপুরে নবগ্রাম থানার শিবপুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে বহরমপুরগামী একটি পিকআপ ভ্যানে তল্লাশি চালায় পুলিস। তা থেকে প্রায় দেড় কুইন্টাল গাঁজা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কার্তিক পাল্লি ও বিপ্লব মালো। কার্তিক গাড়ির চালক ও বিপ্লব খালাসি। দু’জনেই হুগলির মগরার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। নবগ্রাম থানার পুলিস মাদক সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিন বেলা ১২টার পর নবগ্রাম থানার পুলিস শিবপুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং শুরু করে। ঘণ্টাখানেক পর বহরমপুরগামী ওই পিকআপ ভ্যান আটক করে তল্লাশি চালায়। উপরে সাজিয়ে রাখা খালি ফলের ক্রেট সরাতেই গাঁজাভর্তি বস্তাগুলি বেরিয়ে আসে। চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। নবগ্রাম থানার এক পুলিস অফিসার বলেন, মোট ১৪৬ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে ওই বিপুল গাঁজা হুগলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত গাঁজার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। কাকে হাতবদলের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং মাদক কারবারের সঙ্গে কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পুলিসের চোখে ধুলো দিতে মাদক কারবারি বা পাচারকারীরা তাদের পাচারের কৌশল পাল্টায়। কখনও লরি বা পিকআপ ভ্যানবোঝাই কাপড়ের নীচে, আবার কখনও পচা সব্জির বস্তার নীচে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা চালায়। তবে পুলিসের সবসময় সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রাখায় পাচারকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আবার সড়কপথে কড়া নজরদারির জেরে পাচারকারীরা অনেক সময় রেলপথও ব্যবহার করে।