সংবাদদাতা, জামবনী: ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জের দারিশোল বিটের ভাদুয়া গ্রামে ধানজমিতে একটি স্ত্রী হাতির মৃত্যু হয়েছে। এঘটনার পর ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী ঝাড়গ্রামের জামবনীর মালবাঁধি এলাকায় দলের বাকি হাতিরা মাঝেমধ্যে এসে ওই স্ত্রী হাতির খোঁজে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। এমনকী, সাতসকালেই গ্রামে হাতি ঢুকে পড়ছে। এর জেরে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে, ১৯ জুলাই ঝাড়খণ্ডের ভাদুয়া গ্রামে কৃষিজমিতে একটি স্ত্রী হাতিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ওই রাজ্যের বনদপ্তর ও পুলিস ওই জমিতেই হাতিটির দেহ পুঁতে দেয়। এঘটনার পরদিন ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিমি দূরে এরাজ্যের জামবনীর মালবাঁধি গ্রামে ওই দলেরই দু’টি হাতি ঢুকে পড়ে। গ্রামে ঢুকে ওই দু’টি হাতি প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকে। এতে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মালবাঁধির বাসিন্দা মনোরঞ্জন মাহাত বলেন, আমাদের গ্রাম থেকে তিন কিমি দূরে ঝাড়খণ্ডে একটি হাতির মৃত্যু হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আমাদের গ্রামে ওই দলের দু’টি হাতি চলে আসে। প্রায় ২ ঘণ্টা হাতি দু’টি আমাদের বাড়ির সামনে ছিল। বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর তারা পাশের জঙ্গলে চলে যায়। এরপরও মাঝেমধ্যে হাতির হানা, চিৎকারের শব্দে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
বনসুরক্ষা কমিটির এক সদস্য বলেন, ওই দলে ১১টি হাতি ছিল। রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে জামবনীর দিকে আসার সময় স্ত্রী হাতিটি মারা পড়ে। পরে ভোর ৫টা নাগাদ দলের বাকি ১০টি হাতি আমাদের জামবনীর রেহেড়ার জঙ্গলের প্রবেশ করে।