সংবাদদাতা, মানকর: ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সেই রাস্তার লকিং ব্রিকস বা ইট এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ পানাগড় রেলপাড় এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, রাস্তা তৈরির কয়েকদিনের মধ্যেই তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। বেশকিছু জায়গায় লকিং ব্রিকস বেরিয়ে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে আগামী দিনে হাল আরও খারাপ হবে। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে জেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৪৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে রেলপাড় এলাকায় এই রাস্তাটি করা হয়। কিন্তু অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রাস্তাটি নষ্ট হতে বসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার দু’দিকে কোন গার্ডওয়াল করা হয়নি। ফলে লকিং ব্রিকস বা ইট খুলে বেরিয়ে আসছে। সাইকেল ও মোটর সাইকেল আরোহীরা জখম হচ্ছেন। আগের রাস্তাই ভালো ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন গড়াই বলেন, রাস্তার কাজ ঠিকমতো হয়নি। ভালো করে চলাচল করা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, আগে এটি মাটির রাস্তা ছিল। কাঁকসা পঞ্চায়েত থেকে বছর তিনেক আগে ঢালাই করা হয়। পরে রাস্তাটি আরও মজবুত করতে জেলা পরিষদ থেকে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ ঢালি বলেন, এলাকার সাংসদ গলসিতে বেহাল রাস্তা দেখে ক্ষোভ জানিয়েছেন। কিন্তু দুর্গাপুরের পাশেই পানাগড়ে জেলা পরিষদের রাস্তার বেহাল দশা। সাংসদ তদন্ত করে দেখুন।
কংগ্রেস নেতা পূরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজির জন্যই রাস্তার বেহাল অবস্থা। ঠিকাদার সংস্থা কীভাবে ওই রাস্তা প্রশাসনকে হস্তান্তর করল? আসলে দলের তোলাবাজির জন্য সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাস বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। এতে সরকারের বদনাম হচ্ছে। আমরা দ্রুত জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসব।