নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: প্রায় ছ’দিন ধরে প্রবল খাদ্য সঙ্কটে ফুলবাড়ির বাংলাবান্ধা বর্ডারে আটকে থাকা কয়েকশ লরির চালক ও খালাসি। বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে ছ’দিন ধরে বাংলাবান্ধা সীমান্তে আটকে রয়েছে প্রায় ৫০০টি পাথরবোঝাই লরি। এর মধ্যে প্রতিবেশী ভুটানেরই প্রায় ৪৩০টি লরি রয়েছে। ভারতের ৭০টি লরি সীমান্তে আটকে রয়েছে। প্রতি লরিতেই চালক ও সহ চালক মিলিয়ে গড়ে ২-৩ জন করে কর্মী রয়েছেন। গাড়িগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে থমকে থাকায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে অনেক কর্মীই সেখানে লরি রেখে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ কর্মীই সীমান্ত এলাকায় গাড়ির পাহারায় রয়েছেন। ফুলবাড়ি ও বাংলাবান্ধা আর্ন্তজাতিক এই সীমান্তে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন ভুটানের লরি চালক ও কর্মীরা। একদিকে তাদের ট্যাঁকে থাকা টাকাও ফুরিয়ে আসছে, তেমনই হোটেলে বা বাড়িও ফিরে যেতে পারছেন না। দু’বেলা হোটেলে খাবার টাকাও পকেটে নেই। সবমিলিয়ে লরির একপাশে হাঁড়িতে নিজেরাই ভাত ফুটিয়ে পেটের জ্বালা মেটাচ্ছেন। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছেন না। ফলে সীমান্তে আটকে চরম সমস্যা ও খাদ্য সঙ্কটে রয়েছেন চালকরা।
গ্যালেম্পু ভুটানের লরির চালক পেম্বা দরজি শেরপা বলেন, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও জানা নেই। কোনওমতে একবেলার রান্না করে খাওয়া হচ্ছে। বাড়িতেও ফিরে যেতে পারছি না। টাকাও ফুরিয়ে আসছে। কী করব, বুঝতে পারছি না। স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত। আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু-একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালকদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। সংস্থাগুলোর তরফে খাবার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ফুলবাড়ি ট্রাকওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক শুভঙ্কর নস্কর বলেন, চালকদের সমস্যার সমধানে আমরাও উদ্যোগ নিয়েছি। কবে সীমান্ত খুলবে আমরাও জানি না।