নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: দুই প্রতারক মালিকের খপ্পরে পড়ে বিহারে আটকে ছিল কর্মচারী। তাঁকে উদ্ধার করে আনল ভক্তিনগর থানার পুলিস। ভক্তিনগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের বাসিন্দা সংকল্প বর্মন নামে ওই যুবক কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে ভাড়া থাকেন। শিলিগুড়ির দুই চা ব্যবসায়ীর অধীনে কাজ করেন। দুই মালিকের কিছুদিন আগে বিহারের মধুবনি জেলার এক চা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সেই মোতাবেক বিহারের ওই চা ব্যবসায়ী সংকল্পের মালিকদের চাপাতার অর্ডার দেয়। তবে দুই মালিক অগ্রিম টাকা দাবি করে। কিন্তু, বিহারের সেই ব্যববসায়ী অগ্রিম টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপরে সংকল্পের দুই মালিক টাকার গ্যারান্টার হিসেবে কর্মী সংকল্পকে বিহারে সেই ব্যবসায়ীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বিহার থেকে ৭০ হাজার টাকা অগ্রিম বাবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু, শিলিগুড়ি থেকে চাপাতা পাঠানো হয় না। এরপরেই বিহারের সেই বাসিন্দা মালিকদের গ্যারান্টার সংকল্পকে বিহারে নিজের ডেরায় আটকে রাখেন।
এদিকে, চাপাতা না পাঠিয়ে দুই মালিক ফোনের স্যুইচ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু, বিহারে আটকে থাকা সেই কর্মীর খোঁজ শুরু করে তাঁর পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজন সংকল্পের মালিক ও সংকল্পের কোনও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে ২০ জুলাই ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে জানতে পারে সেই যুবকে বিহারে আটকে রাখা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে ভক্তিনগর থানার পুলিস বিহারে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীর হেফাজত থেকে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ভক্তিনগর থানার আইসি অমিত অধিকারী বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সোমবার রাতে এক যুবককে বিহার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুই মালিকের সন্ধান চলছে।