আবর্জনা সংগ্রহে পুরকর্মীদের অসহযোগিতা, বাড়ি শনাক্ত করে নোটিস ধরাচ্ছে পুরসভা
বর্তমান | ২৪ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: ডেঙ্গুর প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর মাথাভাঙা পুরসভা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করছেন পুরকর্মীরা। কোনওভাবেই যাতে জল না জমে থাকে, সেই বিষয়েও তারা বাসিন্দাদের সতর্ক করছেন। কিন্তু পুরসভা বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে গেলেও অনেক পরিবার সহযোগিতা করছে না। কিছু পরিবার বাড়ির আবর্জনাও পুরকর্মীদের হাতে তুলে দেননি। এই অসহযোগিতার জন্য পরিবারগুলিকে নোটিস ধরানো শুরু করেছে পুরসভা। তাতেও সাড়া না দিলে কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি ২৫ জুলাই শহরের জলাশয়গুলোতে ৪৫ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা।
গত একসপ্তাহ ধরে শহরের ১২টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গলিতে মাইকযোগে প্রচার করে পুরসভা। স্ট্রিটকর্ণার করে বাড়ির আবর্জনা পুরসভার গাড়িতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। মঙ্গলবার অনেকে সেই আর্জিতে সাড়া দেন। কিন্তু নাগরিকদের একাংশ তাদের আবর্জনা পুরসভার গাড়িতে জমা করেনি। সেই বাড়িগুলিকে শনাক্ত করেছেন পুরকর্মীরা। তাদের নোটিস ধরনো শুরু হয়েছে। ফের একই কাজ করলে ওই পরিবারগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে পুরসভা।
শহরে একাধিক জলাশয় রয়েছে। কিছু রয়েছে ব্যক্তি মালিকানায়। আবার কিছু পুকুর পুরসভার আওতায় রয়েছে। সেই পুকুরের সিংহভাগ কচুরিপানায় ভর্তি থাকে। এই পুকুরগুলোতে গাপ্পি মাছ ছাড়বে পুরসভা। এর আগে শহরের একাধিক নিকাশিনালায় গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল।
এই ব্যাপারে মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা আগে থেকে সর্তক রয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জমে থাকা বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কিছু বাসিন্দা সহায়তা না করায় তাদের নোটিস ধরানো হচ্ছে। বাড়িতে যাতে খোলা পাত্রে জল জমে না থাকে, সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আমরা জলাশয়গুলোতে গাপ্পি মাছ ছাড়ব। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে।