পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে প্রাথমিকে, আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোয় আসন ভর্তির আশা ডিএলএডে
বর্তমান | ২৪ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাথমিক স্তরের সমস্ত স্কুলে ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণি। এই অবস্থায় ডিএলএড কোর্সের গুরুত্বও বাড়ছে। কারণ, পঞ্চম শ্রেণির অন্তত ১৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী প্রাথমিকের আওতায় চলে এলে সমান হারে শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। আর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য ডিএলএড কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়াটা ন্যূনতম আবশ্যিক শর্ত। এই ডিগ্রি না থাকলে প্রাথমিকের টেট-এও বসতে পারবেন না প্রার্থীরা। তাই প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস ফাইভের অন্তর্ভুক্তি ডিএলএডে ভর্তির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার পর্যন্ত ছিল ডিএলএড কোর্সে ভর্তির চূড়ান্ত সময়সীমা। তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘কর্মরত শিক্ষকদের ডিএলএড কোর্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়াতেই হবে। কারণ এক-দু’জন নয়, প্রায় ৬ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষককে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। তাছাড়া, প্রাথমিকের নিয়োগ অনেক বেশি নিয়মিত। সেক্ষেত্রে ডিএলএডের চাহিদা রয়েছেই। মূলত শিক্ষকদের জন্য পোর্টাল খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানো হলেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও আবেদন জানাতে পারবেন।’ প্রসঙ্গত, কর্মরত শিক্ষকরা ডিএলএডে ভর্তির জন্য পোর্টাল খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে সেই সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে পর্ষদও। শুধু তাই নয়, শিক্ষকরা যাতে বাড়ির কাছাকাছি কলেজে ভর্তির সুযোগ পান, তাও দেখতে হচ্ছে পর্ষদকে। বেশি সময় পোর্টাল খোলা রাখার ফলে বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলির সুবিধা হচ্ছে।
বহু অখ্যাত ডিএলএড কলেজের জন্য ৫০ শতাংশ আবেদনও পড়েনি। তারা এখন আশায় দিন গুনছে। সব মিলিয়ে ডিএলএডে আসনের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। এর পাশাপাশি ৬ হাজার শিক্ষকের জন্য সংরক্ষিত আসন মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০ হাজারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। কলেজগুলির আশা, সাধারণ ডিগ্রি কলেজে পছন্দসই কোর্স না পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশও এবার ডিএলএডে ভর্তির আবেদন করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর ডিএলএডে ভর্তির দৈন্যদশা কাটবে। যদিও পর্ষদ মনে করছে, এর ফলে যথাসময়ে ক্লাস শুরু করা যাবে না। বহুদিন পরে ডিএলএড কোর্সের পরীক্ষাগ্রহণ এবং ফলপ্রকাশ নিয়মিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে।