সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ২০২২ এবং ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ তিন কেজি ওজনের ইলিশ মাছ স্থানীয় বাজারে দেখা গিয়েছিল। তা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তবে মঙ্গলবার ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে এ মরশুমের সবচেয়ে বড় ইলিশ। পাইকারি বাজারে আসতেই এই ইলিশ কেনার জন্য ক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। দাঁড়িপাল্লায় তুলতেই উপস্থিত সকলের চক্ষু চড়কগাছ। স্থানীয় নদী থেকেই মৎস্যজীবীরা এতবড় ইলিশ মাছ ধরেছেন, এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। কারণ প্রায় আড়াই কেজি সাইজের ইলিশ সাধারণত নদীতে মেলে না। কপাল ভালো থাকলে সমুদ্রে ট্রলারে ধরা পড়ে এই সাইজের ইলিশ।
সুন্দরবন এলাকায় ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে মাছ ধরেন বহু মৎস্যজীবী। স্থানীয় নদী-নালায় জাল পেতে মাছ ধরেন তাঁরা। এদিন ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে কাকদ্বীপের চার মৎস্যজীবী মুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। দুপুরের দিকে নদীতে জাল ফেলেছিলেন তাঁরা। সন্ধ্যায় জাল তোলার পর এতবড় ইলিশ দেখে তাঁরা অবাক হয়ে যান। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ওই ইলিশ নিয়ে ছোটেন কাকদ্বীপের পালবাজারের একটি আড়তে। আড়াই কেজির ইলিশ দেখতে ভিড় জমে যায় সেখানে। পাল্লায় তুলে শুরু হয় মাছ বিক্রির ডাক। প্রথমে ১২০০ টাকা কেজি দরে ডাক শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে টাকার অঙ্ক। শেষ পর্যন্ত নিলামে দাম ওঠে কেজি প্রতি আড়াই হাজার টাকা। সব মিলিয়ে একটি ইলিশের দাম ৬ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাছ ব্যবসায়ী সুরজিৎ দাস বলেন, ‘সাধারণত স্থানীয় নদীগুলিতে এতবড় ইলিশ আসে না। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় নদী থেকে পাওয়া ইলিশগুলির মধ্যে এটাই এই মরশুমে সবচেয়ে বড়।’