সংবাদদাতা, বারুইপুর: স্কুলে নীচের তলার দু’টি ঘরেরই দেওয়াল, বিমে ধরেছে ফাটল। বাধ্য হয়ে দোতলার একটি ঘরে কোনওরকমে চলছে ক্লাস। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। পড়ুয়াদের ওঠানামার জন্য সিঁড়ি ঘরের টালির ছাউনির অবস্থা বিপজ্জনক। বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন উদ্বিগ্ন শিক্ষিকারা। এই চিত্র বারুইপুরের শিখরবালি ২ পঞ্চায়েতের বাগদহ অবৈতনিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা অধিকারী বলেন, এই বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছি। স্কুলের ঘরগুলিকে মেরামত করা হলে ছাত্রসংখ্যাও আরও বাড়বে বলে আশা করি। আর এনিয়ে বারুইপুর দক্ষিণ চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
এই স্কুলে তিনজন শিক্ষিকা আছেন। ছাত্র সংখ্যা ৪৬ জন। তবে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপর বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা নির্ভরশীল। স্কুলের দোতলা ভবনের একতলায় ক্লাস হয় না। কারণ, দু’টি ঘরের অবস্থাই শোচনীয়। দেওয়াল, বিম ভেঙে পড়তে পারে যে কোনও দিন। সিমেন্ট উঠে গিয়ে মেঝে খসখসে হয়ে গিয়েছে। এছাড়া দোতলাতে দু’টি ঘরের অবস্থাও খারাপ। ঘরে প্লাস্টারের প্রলেপ পড়েনি এখনও। ঘরের সমস্যার জন্য একটি ঘরেই তিনটি ক্লাস চালাতে হয়। গ্রিলের জানালা থাকলেও পাল্লা নেই। ফলে বৃষ্টির জল ছিটকে আসে। অবশ্য প্লাস্টিকের পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সিঁড়ি ঘরের টালির ছাউনি যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। ওই পথ দিয়েই পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষিকাদের ওঠানামা করতে হয়। এছাড়া রান্নাঘরে উনুনের ধোঁয়া বেরনোর জায়গাও মাত্র একটি। মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের অভিযোগ, রান্নার সময় দমবন্ধ হয়ে যায়। খুব কষ্ট করে রান্নার কাজ করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্কুলের বাইরে একটি হাজার ফুটের কল অকেজো অবস্থায় পড়ে। আর একটি কলের জলে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে বলে ব্যবহার করা হয় না। তাই কিছু দূরে গিয়ে পানীয় জল আনতে হয় পড়ুয়াদের। এক শিক্ষিকা বলেন, স্কুলের ঘরগুলির অবিলম্বে সংস্কার দরকার। পাশাপাশি টিউবওয়েলও মেরামত করা