সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ শৌচালয়, সমস্যায় রোগী-পরিজনরা
বর্তমান | ২৪ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুর, ভাঙড়, সোনারপুর তো বটেই, এমনকী জয়নগর থেকেও বহু মানুষ সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা করাতে। প্রতিদিন আউটডোরে শতাধিক রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু তাঁদের সবাইকেই এক অভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তা হল শৌচাগারের অভাব। হাসপাতালে শৌচালয় তৈরি হলেও সেটি আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী বা তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে মহিলারা সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন।
হাসপাতালের ভিতরে শৌচাগার তৈরি হয়েছে, তাও এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এই শৌচাগার পরিচালনার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কেউ দায়িত্বভার নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি বলে খবর। ফলে তালা বন্ধ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে এই টয়লেট। রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের বক্তব্য, ডাক্তার দেখাতে এলে অনেকটা হাতে সময় নিয়ে আসতে হয়। এর মধ্যে কারও বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন পড়লে খুবই অসুবিধা হয়। তখন বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে যায় তাঁদের। সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল বর্তমানে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত হলেও সেই পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। ফলে শৌচাগারের অভাবে রীতিমতো বিরক্ত রোগীরা।
সোনারপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ মিশ্র বলেন, অনেকবার এই শৌচালয় চালানোর জন্য লোক খোঁজা হয়েছে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না। সব মহলকেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে। সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালের মতোই রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রক্ষিতের মোড়ের কাছে একটি শৌচালয় তৈরি হলেও প্রথম থেকেই সেটি বন্ধ। ফলে পথচারী ও দোকানিদের আশপাশের ঝোপঝাড় বা নর্দমার ধারে মল-মূত্র ত্যাগ করতে হয়। রাজ্য যখন ‘নির্মল বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, তখন শৌচালয় বন্ধ থাকার কারণে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।