তাঁর আরও দাবি, ‘‘গত পাঁচ বছরে শহরে কমপক্ষে এক হাজার বিকল্প পরিবহণ পরিষেবা দিতে গাড়ি নেমেছে। এ ছাড়াও প্রায় ৭০ হাজার অ্যাপ ক্যাবও রাস্তায় চলে। তাই সাধারণ যাত্রীদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের ২০০৯ সালে করা একটি মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেলে আর কোনও বাস কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। শহর কলকাতার পরিবেশ রক্ষার জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বাসমালিকদের সংগঠন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি পাঠিয়ে দেয় কলকাতা হাই কোর্টে। আগামী ১ অগস্ট থেকে সেই নির্দেশ কার্যকর করবে পরিবহণ দফতর। এ প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘ওই নির্দেশের পর ২০০৯, ২০১০, ২০১১-সহ পর পর বছরগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে গাড়ি নেমেছে। এখন থেকে প্রতি বছরই ১৫ বছরের ঊর্ধ্বসীমা মেনে গাড়ি বাতিল করতে হবে। তবে সেই সংখ্যা কখনওই এতটা বৃহৎ নয় যে, সাধারণ যাত্রীদের শঙ্কিত হতে হবে।”
সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘শুধুমাত্র বেলতলা মোটর ভেহিক্লসেই আগামী ছ’মাসে প্রায় ৫০০ বেসরকারি বাস বাতিল হবে। হাওড়া মোটর ভেহিক্লসে বাতিল হবে প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো গাড়ি। হাওড়ায় এমন রুটও রয়েছে, যার ৭০ শতাংশ গাড়িই বসে যাবে। আলিপুর এবং বারাসত মোটর ভেহিক্লসেও অনেক গাড়িও বাতিল হবে।” আরও বলেন, ‘‘বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠনগুলি সংখ্যা দিয়ে কোনও দাবি করতে চায় না। প্রথমত, গাড়ির তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৩০ টাকা করে, তাতে অপারেশনাল খরচ বেড়েছে আড়াই হাজার টাকা। যেখানে আয়-ব্যয়ের সমতা রাখা যাচ্ছে না, সেখানে পুরনো বাস উঠে গেলে নতুন গাড়ি নামবে কী ভাবে? দ্বিতীয়ত, বছর বছর যে সব নতুন গাড়ি রাস্তায় নেমেছে, তাতে রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে। সামগ্রিক গাড়ির সংখ্যা বাড়েনি। অ্যাপ ক্যাব বড়লোকদের জন্য, গরিবের যানবাহন আজও বাস। এর প্রতি সরকারের যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন বলেই আমরা মনে করি।”