এই সময়: ভুয়ো চিহ্নিত হয়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের থেকে আগে পাওয়া বেতন ফেরানো বা স্ত্রীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এসএসসি-র আঞ্চলিক চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ--কোনও ক্ষেত্রেই রাজ্যের উৎসাহ নেই বলে মঙ্গলবার একটি মামলায় শিক্ষা দপ্তরকে তীব্র কটাক্ষ করল হাইকোর্ট।১২ অগস্টের মধ্যে এই দু’টি ক্ষেত্রে রাজ্যের কী অবস্থান--তা লিখিত ভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলশিক্ষা কমিশনারকে।বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ভুয়ো স্কুল শিক্ষকদের বেতন হিসেবে দেওয়া এতদিনের টাকা ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য কি আদৌ ইচ্ছুক? কেন এতদিনেও তাঁদের থেকে টাকা ফেরাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?
১২ শতাংশ সুদে ওই টাকা ফেরাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় আদালত। কোনও পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পাওয়া ৭ শিক্ষককে ইতিমধ্যে সিআইডি চিহ্নিত করেছে। তাঁদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে রাজ্য। কিন্তু তাঁরা যতদিন বেআইনি ভাবে চাকরি করেছেন, সেই সময়ে বেতন হিসাবে পাওয়া টাকাও ফেরাতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
পাশাপাশি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারপার্সন সিরাজুদ্দিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে (যিনি শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ) শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। তিনি বেআইনি ভাবে স্ত্রীকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেন। সেই চাকরি অবশ্য ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে এসএসসি।