মোবাইলে কথা বলার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিএসএনএলে পোর্ট করানোর প্রবণতা প্রতিদিন বাড়ছে। চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের সিমের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিএসএনএল। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে রাজ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার নতুন গ্রাহক বিএসএনএলে যুক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৪০ হাজার গ্রাহক নম্বর এক রেখে বেসরকারি সংস্থা ছেড়ে বিএসএনএলে পোর্ট করিয়েছেন।দুর্গাপুর সার্কলে চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত নম্বর এক রেখে বিএসএনএলে পোর্ট করিয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩৬ জন। দুর্গাপুরে বিএসএনএলের সিম বিভাগের আধিকারিকদের বক্তব্য, হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে সিম সরবরাহ করা যাচ্ছে না। দুর্গাপুরের গ্রাহকদের জন্য পর্যাপ্ত সিম থাকলেও বর্ধমান ও বীরভূমে ঘাটতি রয়েছে ভালোই।
তবে আগামী কয়েকদিনে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে বিএসএনএলের দুর্গাপুর শাখা।
দেশ ও রাজ্যের সঙ্গে বিএসএনএলের দুর্গাপুর সার্কলেও পোর্ট করানোর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত দুর্গাপুরে ২৩৬৭ জন গ্রাহক মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে বিএসএনএলে যোগ দিয়েছেন। আসানসোলে পোর্ট করিয়েছেন ২৮৭৬ জন গ্রাহক। বীরভূমের সিউড়ি সার্কলে ২৫০০ জন গ্রাহক পোর্ট করিয়েছেন। সব থেকে বেশি পোর্ট করা হয়েছে বর্ধমানে। এখানে ৬১০২ জন গ্রাহক বিএসএনএলে পোর্ট করিয়েছেন।
বিএসএনএলের দুর্গাপুর শাখার সিম বিভাগের এক আধিকারিক জানান, হঠাৎ পোর্ট করানোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সিমের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। ফলে সময়ে সিম সরবরাহ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বর্ধমান ও সিউড়িতে চাহিদা মতো দেওয়া যাচ্ছে না সিম। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ওই আধিকারিক বলেন, ‘পোর্ট করাতে বেশি সময় লাগছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একদিনের মধ্যে পোর্ট হয়ে যাচ্ছে। টেকনিক্যাল সংমস্যা থাকলে কখনও দু’দিন সময় লাগছে।’ সিটি সেন্টারের বাসিন্দা সুজয় অধিকারী বলেন, ‘আমার পরিবারে তিনটি মোবাইল, তার মধ্যে একটি বিএসএনএল। বাকি দুটো বেসরকারি সংস্থার। মাশুল বাড়ার কারণে আর বেসরকারি সংস্থায় নয়, বিএসএনএলে নম্বরগুলো পোর্ট করিয়ে নিচ্ছি। আবেদন করেছি। তিন দিনের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আমাকে জানানো হয়েছে।’
এক সময়ে দুর্বল পরিষেবার জন্য গ্রাহকরা বিএসএনএল ছেড়ে বেসরকারি সংস্থার সিম ব্যবহার করতে শুরু করেন। সেই পরিষেবা কতটা উন্নত হয়েছে? সংস্থার বিপণন বিভাগের আধিকারিক তারকনাথ দাস বলেন, ‘পরিষেবা আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। আমরা দ্রুত ফোর-জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। দুর্গাপুরে এখনও ফোর-জি পরিষেবা দেওয়া যায়নি। তবে এই সার্কলের বর্ধমান, সিউড়িতে ফোর-জি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে গ্রাহক সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।’