হিমঘরের আলু বের করে বেচবে সরকার, সঙ্কটে কড়া ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর
এই সময় | ২৪ জুলাই ২০২৪
এই সময়: পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খুচরো বাজারে যাতে আলু সরবরাহে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও প্রদীপ মজুমদারকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘট মোকাবিলায় ডিএম-এসপিদেরও পথে নামার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।আপাতত ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানিতে কড়াকড়ি করা হয়েছে। খুচরো বাজারে আলুর দাম না-কমা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বজায় থাকবে।বিধানসভায় মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলু নিয়ে সঙ্কটের পরিস্থিতির আলোচনা হয়। তার পরেই মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে এই সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানে হিমঘর মালিকদের সংগঠনকেও ডাকা হয়েছিল।
হিমঘর মালিকরা জানান, তাঁরা ব্যবসায়ীদের আলু রাখেন হিমঘরে। আলু কেনাবেচায় যুক্ত নন। এই পরিস্থিতিতে ঠিক হয়েছে, কৃষিবিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না আলু ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাতে দাম নিয়ন্ত্রণ না হলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ আইনে হিমঘর থেকে আলু বের করে খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে।
বেচারামের কথায়, ‘হিমঘর মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁদের নিজস্ব যে মজুত আলু রয়েছে তা রাজ্য সরকারকে ২৬ টাকা কিলো দরে বিক্রি করতে হবে। প্রতি হিমঘরে ২০% সরকারি কোটা রয়েছে। যে কোটায় চাষিরা আলু রাখেন। সেই আলু রাজ্য সরকার চাষিদের থেকে কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিক্রি করবে।’
প্রসঙ্গত, কলকাতার বাজারে প্রতিদিন ৮-৮.৫ হাজার মেট্রিক টন আলুর চাহিদা রয়েছে। রাজ্যের জেলাগুলিতে মাসে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন আলু জোগান দিতে হয়। খুচরো বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব একটি সংগঠন তৈরিরও পরিকল্পনা করেছেন। সংগঠন গড়ে তোলার দায়িত্ব বেচারাম মান্না, রামেন্দু সিংহ রায়দের দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য, আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনে তৃণমূল সমর্থকরা থাকলেও বাম ও বিজেপি মনোভাবাপন্ন লোক বেশি। এই কারণেই তৃণমূল পৃথক সংগঠন গড়তে চাইছে। রাজ্য সরকারের ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সংগঠনের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে।