তলানিতে ঠেকেছিল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরার বিষয়টি নজরে আসে পরিবারেরও। সালিশি সভা ডেকে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর উদ্যোগও নেন পরিজনরা। কিন্তু, সেই সালিশি সভাতেই স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি কিলার আনার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে বারুইপুর থানার বেলেগাছি এলাকায়। পুলিশি তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়েছে ওই মহিলার স্বামী এবং সুপারি কিলার হিসেবে চিহ্নিত হওয়া ব্যক্তি।পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বামী নুর হোসেন ফকির জীবনতলা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে আড়াই বছর আগে সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা আসমান বিবির বিয়ে হয় ৷ তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু, বিয়ের কয়েক মাস পরেই নুর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সাংসারিক অশান্তি চরমে ওঠে। বাড়ি ছেড়ে চলে যান নুর।
এরপর সালিশি সভার মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে পরিবার। ১৯ জুলাই বেলেগাছির নবপল্লিতে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানেই নুর নিজের বন্ধু পরিচয় দিয়ে নিয়ে আসে এক সুপারি কিলারকে। ওই ব্যক্তির নাম সাহিল খান। কিন্তু, আগে থেকেই বিশেষ সূত্র মারফত সাহিলের বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ এবং ওই সভায় পৌঁছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নুরও।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাহিল চিৎপুরের বাসিন্দা। সে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাকে মোটা টাকার বিনিময়ে সালিশি সভায় নিয়ে আসে নুর, সূত্রের খবর এমনটাই। সাহিল খানকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আসমিন বিবির দাদুর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে গুলি ভর্তি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সাহিলই তা লুকিয়ে রেখেছিল। আসমান বিবির পরিবারের সদস্য নুরনাহা বিবি বলেন, 'আমরা চাইনি মেয়ের সংসার ভেঙে যাক। তাই সালিশি সভার ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে এই ধরনের কোনও কাণ্ড নুর বাঁধাতে পারে, তা ভাবতেও পারিনি।' এই প্রসঙ্গে বারুইপুরের এসডিপি অতীশ বিশ্বাস জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।