• বু‌জিয়ে ফেলা পুকুর খোঁড়ার কাজ শুরু করলেন চেয়ারম্যান
    আজকাল | ২৪ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি:‌ পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়েছিলেন। বিলম্ব করেননি। বুধবার পুর পারিষদ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন ঘটনাস্থলে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বোজানো পুকুর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন অচিরেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে পুকুরকে। বছর চারেক আগে বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পীরতলা এলাকায় পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছিল। প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়ে থেকে সেই পুকুরটি খনন করার কাজ করে।

    সম্প্রতি প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবার সেই পুকুর বোঝানোর কাজ পুনরায় শুরু হয়। এই নিয়ে একাধিকবার পুর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। অবশেষে খবর পৌঁছয় চেয়ারম্যানের কানে। এদিন বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো পূর্ত দপ্তরের পুর পারিষদ সুবীর ঘোষকে নিয়ে উপস্থিত হন। শুরু হয় পুকুর খননের কাজ। অন্যদিকে কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের রাধা গোবিন্দ কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি পুকুর বোজানো চলছিল। স্থানীয় পুর সদস্য বিষয়টি পুরসভার নজরে আনেন। পুকুর বোজানোর ফলে বন জঙ্গলে ভরেছে এলাকা। পোকামাকড়, মশার উৎপাত বেড়েছে। দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়। অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের দাবি অবিলম্বে এই পুকুরকে আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। তাতে সাধারণ মানুষদের সুবিধা হবে এবং এলাকা দূষণমুক্ত হবে। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, এদিন ওই পুকুরও খননের কাজ শুরু হয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে জলাশয় বুজিয়ে বেআইনি আবাসন তৈরি হওয়ার ফলে সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই আরও সক্রিয়তা বাড়ে। বেআইনি দখলদারী উচ্ছেদের পাশাপাশি বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকায় বুজিয়ে ফেলা পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এন সি ব্যানার্জি রোড এলাকায় একটি ১৭ শতক পুকুর ভরাট হয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্ট ও মৎস্য দপ্তর থেকে পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে। ২০১৭ সালের পর থেকে টালবাহানা চলতে থাকে। পুরসভার কাছে ওই পুকুর খননের টাকা নেই বলে জানানো হয়। ফলে সেই পুকুর এখনও বোঝানো অবস্থাতেই পরে রয়েছে।

     বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, পুকুর বোজানোর খবর পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ অনেক সময় অভিযোগ করেন না। সেক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের বলেছি তারা যেন অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন এ ধরনের অসামাজিক কাজ বরদাস্ত করা যাবে না।

    ছবি:‌ পার্থ রাহা

  • Link to this news (আজকাল)