• কম সুদে ১০ লক্ষের লোন, রাজ্য না কেন্দ্র- কার অপশন ভালো?
    আজ তক | ২৪ জুলাই ২০২৪
  • কেন্দ্রের বাজেট না-পসন্দ বিরোধীদের। কংগ্রেসের অভিযোগ, বাজেটের একাংশ তাদের ন্যায়পত্র থেকে 'টোকা'। এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে 'টুকলি'র অভিযোগ করল বাংলার তৃণমূল সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, রাজ্যের ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের প্রকল্পই নকল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলে রাখি, পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।          

    মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়়ুয়া পিছু ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সীতারমন। বছরে সুদ ৩ শতাংশ। রাজ্যেও এমন একটি প্রকল্প বিদ্যমান। ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়া হয় পড়়ুয়াদের। সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'জনবিরোধী সরকারের জনবিরোধী বাজেট! তার মধ্যে যেটুকু লক্ষ্যণীয় তা হলো "টোকাটা দেখুন"। অর্থাৎ 'পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা অবধি ঋণ প্রকল্প' আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে নকল করে করতে হয়েছে। তা টুকছেন, টুকুন। আমাদের আপত্তি নেই, খালি ঋণস্বীকারটুকু করার সাহস দেখালে ভালো হতো না?' (বানান ও শব্দগঠন অসম্পাদিত) 

     

    রাজ্য ও কেন্দ্র- দুই সরকারই পড়ুয়াদের স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু পড়ুয়ারা কোন প্রকল্পে উচ্চশিক্ষার জন্য ধার নিলে সুবিধা পাবেন? 

    বাজেটে নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছেন,১০ লক্ষ টাকা করে পড়ুয়ারা ঋণ পাবেন। প্রতিবছর সুদ ৩ শতাংশ। বছরে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে দেওয়া হবে এই ই-ভাউচার। তবে বিদেশে পড়তে গেলে এই ঋণ মিলবে না। দেশীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো করলেই মিলবে কেন্দ্রের শিক্ষা ঋণ।    

    পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় রাজ্য সরকারও। এক্ষেত্রে সুদের হার ৪ শতাংশ। তবে পড়াশুনোর সময়ই সেই ঋণ পরিশোধ করে দিলে সুদ ১ শতাংশ কমে যাবে। অর্থাৎ সুদের হার তখন হবে ৩ শতাংশ। সর্বাধিক ১৫ বছরের সময়সীমার জন্য এই ঋণ নেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ বয়স ৪০ বছর। অর্থাৎ বিরাট পরিধি।   wbscc@bangla.gov.in-এ গিয়ে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের। 

    মিল-অমিল কোথায়? 

    ১। কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই সরকারের ঋণ দেওয়ার পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা।
    ২। কেন্দ্র প্রতিবছর ১ লক্ষ পড়ুয়াকে ঋণ দেবে। রাজ্যের ক্ষেত্রে এমন কোনও সীমা নেই। দেশের বিরাট জনসংখ্যার নিরিখে ১ লক্ষ সংখ্যাটা অনেক কম। খুব কম পড়ুয়াই সুযোগ পাবে মত অনেকের। 
    ৩। কেন্দ্রের ঋণের সুদের হার ৩ শতাংশ। রাজ্যের ক্ষেত্রে তা ৪ শতাংশ। তবে রাজ্যের ঋণ ১ শতাংশ কমে যাবে, যদি পড়ুাশুনোর সময়কালেই শোধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তা খুব কম পড়ুয়াই করতে পারেন। 

    দু'টি ঋণই কি একসঙ্গে নিতে পারেন কোনও পড়ুয়া? 

    এক ব্যাঙ্ক আধিকারিক জানিয়েছেন,'ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার গ্যারেন্টার হলেও পড়ুয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড বা পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। একসঙ্গে দুটি ঋণ নেওয়ার সম্ভাবনাই খুব কম। সম্ভব নয় বললেই চলে'।
  • Link to this news (আজ তক)