• শুভেন্দু–তপনের লড়াই বিধানসভায়, দুই বিধায়কের পরস্পর অভিযোগ উত্তপ্ত পরিবেশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ জুলাই ২০২৪
  • বিধানসভার অধিবেশন চলছিল। শাসক–বিরোধী দু’‌পক্ষের বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে ক্রমশ পরিস্থিতি তপ্ত হচ্ছিল। তার সঙ্গে ছিল স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের দাপট। তারই মধ্যে বিধানসভার লবিতে আজ, বুধবার নিজের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অধিবেশনের প্রথম পর্বের পর নারী নির্যাতন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি তুলে বিধানসভার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। এই ঘটনা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জোর চর্চা চলছে।

    নারী নির্যাতন নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে আলোচনার দাবি তোলেন বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু তাতে সম্মতি না দেওয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই বিধানসভার অলিন্দে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় পূর্বস্থলীর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‌বিধানসভার লবিতে আমি যখন আসছিলাম, তখন পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে আসে। বিজেপি বিধায়করা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাইরে রাখার অর্ডার রয়েছে। আমি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে পাঠাচ্ছি এখনই।’‌ এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।

    আজ বিধানসভায় অধিবেশন শুরুর থেকেই আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তখনই হঠাৎ পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় তেড়ে আসে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। তপনবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘‌কে আমার মেয়ের চাকরি করিয়েছে? আমার নাকি কলকাতায় দুটো ফ্ল্যাট! তার চাবি দাও আমাকে।’‌ শুভেন্দুর দাবি, বাকবিতণ্ডা সময়ই তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন। বিধানসভার ভিতরে–বাইরে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‌আমি বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছি। কোনও বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হলে সেটার দায় স্পিকারের।’‌

    তবে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শুভেন্দু কেন ওই কথাগুলি বলেছিলেন?‌ সেটা তিনি জানতে চেয়েছিলেন। আর এই নিয়ে থানায় এবং বিধানসভার স্পিকারের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌শুভেন্দু অধিকারী ভোটের আগে আমার বাড়ির সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, আমার মেয়ে নাকি থার্ড ডিভিশনে পাশ করেছে। আমি নাকি অবৈধ উপায়ে দুটো ফ্ল্যাট কিনেছি। আমার মেয়ে ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করেছে। গ্র্যাজুয়েশন করেছে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, বিএড করেছে। তাঁর নামে যদি এমন কথা বলেন, কী বলব! আমার সম্মানহানি করেন। অনেক লোক ছিল, আমি শারীরিক হেনস্থা করেছি কিনা সেটা দেখে নিন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)