• উঠল ধর্মঘট, বাজারে আলুর দাম কমবে নাকি বাড়বে?
    আজকাল | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি: দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে উঠলো আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বাজারে আলুর যোগান স্বাভাবিক হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বুধবার রাত থেকেই হিম ঘর থেকে আলু বেরোনো শুরু হয়ে যাবে।

    গত সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি। ওই দিন সকাল থেকে হিমঘর খোলা রাখা হলেও আলু বের করা বন্ধ রাখা হয়। ফলে বাজারে আলুর যোগান কমে যাওয়ার পাশাপাশি দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। হিমঘর থেকে গত শনিবার যে আলু বের করা হয়েছিল সেটা ক্রমেই কমতে থাকে। বাজারে আলুর অভাব দেখা দেয়, বেড়ে যায় দাম।

    বুধবার বৈঠক শেষে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখার্জি জানিয়েছেন, বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হল। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠে গেল। আলুর যোগান এবার স্বাভাবিক হবে। এদিন রাত থেকে হিম ঘর থেকে আলু বেরোবে। তিনি এবং তাঁর সংগঠন সরকারের পাশে আছে। তবে,

    আলু বাইরে যাওয়ার বিষয়টি যেন সরকার দেখে। তিনি আশাবাদী মন্ত্রী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

    সংগঠনের তরফে সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করা হবে। এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ডস্টোর অ্যাসোসিয়েশনের পতিতপাবন দে বলেন, সংগঠনের তরফে যা সাহায্য করা যায় সেটা বলা হয়েছিল। রাজ্য সরকার সাড়া দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে। সরকারকে আলু দিয়ে সাহায্য করা হবে। রাজ্যে কমবেশি ১১০ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়। সেটা এই রাজ্যের পক্ষে অনেকটাই বেশি। তাই আলু ভিন রাজ্যে পাঠাতে হয়। আলু অনেকটাই অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। আলুর দাম বেশি থাকলে চাষীরা কিছু টাকা পায়।

    হিমঘর সংগঠনের সভাপতি সুনীল রানা বলেন, তিনি চান রাজ্যে আলুর যোগান স্বাভাবিক রেখে যাতে ভিন রাজ্যে পাঠানো যায়। আলু যাতে ন্যায্য মূল্যে পায় তার দিকে খেয়াল রাখা হবে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেছেন, 'ব্যবসায়ীদের কর্ম বিরতিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা রাখা হয়েছিল। রাজ্যের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। কিছু সমস্যা রয়েছে। সেটা বলেছেন। মুখ্যসচিব বলেছেন বিষয়টি দেখবেন। রাজ্যে ৪৯৩ টি সুফল বাংলা কাউন্টার খোলা আছে। হিমঘর থেকে ২৬ টাকা দরে আলু দেবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুফল বাংলা থেকে ২৯ টাকা দরে আলু বিক্রি করা হয়েছে। আলু ব্যবসায়ীরা যদি কথা রাখেন তাহলে আমরা ৩০ টাকার নিচে আলু খাওয়াতে পারব। দিল্লি থেকে দেশের অন্য রাজ্যে আলুর দাম চড়া। সেই তুলনায় আমাদের রাজ্যে আলুর দাম কম। বাইরে আলু যাওয়ার বিষয়ে বলেছেন। আলুর যোগান স্বাভাবিক হলে সেটা নিয়ে ভাবা হবে।'
  • Link to this news (আজকাল)