খড়গপুর কলেজের সীমানা ঘিরে পাঁচিল রয়েছে। সেই পাঁচিল ভেঙে কিছু জমি মাফিয়া খড়গপুর কলেজের এলাকার ভেতরে ঢুকে জমি দখল করে নিজেরা পাচিল তৈরি করতে শুরু করে। কলেজের জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে খড়্গপুরের মহকুমা শাসক, খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক এবং টাউন থানায় অভিযোগ জানান কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্ত। এরপরে পাঁচিল নির্মাণ আপাতত বন্ধ । সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খড়গপুর কলেজের জন্য ১৩.৩৯ একর জমি দান করেন সালেহা খাতুন ১৯৪৯ সালে । পরে সরকার আরো 6 থেকে 7 একর জমি অধিগ্রহণ করে ।
কিন্তু পুরো জমি শত চেষ্টা সত্ত্বেও রেকর্ডভুক্ত করা যায়নি। কলেজের দখলে থাকা ১৫১ নং দাগের দানপত্রটি কলেজের হেফাজতে রয়েছে । কলেজের হেফাজত থেকে জমির বেশ কিছু কাগজপত্র কয়েক বছর আগে সরিয়ে দেওয়া হয় । তার পিছনে এক জমি মাফিয়ার হাত রয়েছে। এই ১৫১ নম্বর দাগটি জনৈক অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নামে রেকর্ড করে দেওয়া হয়। বর্তমানে একজনকে বিক্রি করা হয়েছে। সেই ব্যক্তি নিজের কেনা জমি ঘিরতে গেলেই সমস্যার সূত্রপাত। ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, মূল অভিযুক্তরা পর্দার পিছনে রয়েছেন। কিন্তু চেন ডিড পরীক্ষা করলেই পর্দার আড়ালে থাকা ব্যক্তিরা সামনে আসবেন ।
কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্ত জানান, তিনি প্রশাসনিক মহলকে জানিয়েছেন। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে কলেজের জমি মাপার জন্য বারে বারে বলেছেন। কিন্তু বছরের পর বছর তার কথা কেউ গুরুত্ব দেয়নি। খড়্গপুরের মহকুমা শাসক অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন।
খড়গপুর কলেজ পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন , কলেজের সামনে থাকা নয়ানজুলি এবং কলেজের জমি বেহাত হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম । মুখ্যমন্ত্রীও প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও নতুন করে পাঁচিল ভেঙে জমি কলেজের জমি দখলের ঘটনা সামনে এলো। সিপিএমের খড়গপুর শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষকে এই জমি বেহাত হয়ে যাওয়া বন্ধ করার জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হয়।