আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।এদিন মামলার শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, “কোনওরকম মানহানিকর মন্তব্য করা হয়নি। কারণ, এই বক্তব্য অনেক আগে থেকেই জনসমক্ষে আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের ১৯ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকের বাক স্বাধীনতা আছে। সংবাদমাধ্যমের বক্তব্যকে ভিত্তি করে মামলা করা হলেও কোনও মিডিয়া হাউসকে মামলায় যুক্ত করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, গত ২ মে রাজ্যপাল বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। এদিকে উপ নির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়ন চলেছিল। রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, -‘ মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান’। মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেন সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপালতৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে মুখ্যমন্ত্রী সহ চার জনকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকম অসম্মানজনক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।রাজ্যপালের করা মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে,-‘ ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রিয়াদ হোসেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না’। যদিও সে সেময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, “নির্যাতিতার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন। এর মধ্যে ব্যক্তি আক্রমণ বা মর্যাদাহানির অভিযোগ ঠিক নয়।”এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী।আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।