আলু সরবারহ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তার পরেই দেখা যায় হুগলির হরিপাল বিডিও অফিসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে আলু ব্য়বসয়ায়ী ও হিমঘর মালিকদের সংঘঠন একটি আলোচনায় বসেন। দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর যা দাঁড়ায় তা হলে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। পাশপাশি তারা জানিয়ে দেন বুধবার রাতে থেকেই হিমঘর থেকে আলু বের হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই আলুর জোগান যাতে স্বাভাবিক হবে তার জন্য চেষ্টা হবে।
মঙ্গলবার আলুর দাম নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আলুর দাম যতক্ষণ না কমছে ততক্ষণ ভিন রাজ্যে আলু যাবে না।
ওই বৈঠকের পর কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না হলেন, রাজ্য সরকার সুফল বাংলা থেকে আলু বিক্রি করবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন হিমঘর থেকে ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে আলু তারা দিতে পারবেন। সেই আলু সুফল বাংলা থেকে সাধারণ মানুষ ৩০ টাকার নীচে কিনতে পারবেন।
আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে আলু ধর্মঘট তুলে নেওয়া হল। আমাদের যে সব দাবিদাওয়া ছিল তা সরকার ভাববে এব্যাপারে আমরা আশাবাদী। কোথাও কোথাও ৫০ টাকা দাম নেওয়া হয়েছে। এটা একেবারে অন্যায়। পঞ্চাশ টাকা দাম নেওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি হয়নি।