নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। মঙ্গলবারই এই তথ্য দিয়েছেন খোদ বন রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সুন্দরবনেই রয়েছে ১০১টি বাঘ। তাছাড়া বক্সার জঙ্গলে আরও একটি বাঘের অস্তিত্ব মিলেছে। বিধানসভায় প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা বলেন, ” ২০১০-এ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ছিল ৭৪ টি। ২০১৪-এ এই সংখ্যা ছিল ৭৬। ২০১৮ সালে সুন্দরবনে (Sundarbans) বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ১০১।” প্রসঙ্গত চার বছর অন্তর এই বাঘশুমারি হয়।
বাঘের সংখ্যার বৃদ্ধি হওয়ায় খুশি পরিবেশবিদরা। তাঁদের মতে, বাঘের (Tiger) সংখ্যার উপর নির্ভর করে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ৷ তাই বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সব দিক থেকেই মঙ্গল ৷ বাঘশুমারিতে বনকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও সাহায্য করেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পে ক্যামেরা ট্র্যাপ বিশেষ কার্যকর হয় এই শুমারিতে। মন্ত্রী এদিন বলেন, “আমরা বাঘকে খাওয়ানোর জন্য মিষ্টি জল দিই। বাঘের গতিবিধির উপর ক্যামেরা বসানো রয়েছে।”
এদিকে মঙ্গলবার বিধানসভায় বিজেপি (BJP) বিধায়ক অনুপকুমার সাহা বনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, এলাকায় বাঁদর এবং হনুমানের উপদ্রব হয়েছে। সেই আক্রমণ রোধে সরকারের কোনও পরিকল্পনা আছে কি না তা জানতে চান তিনি। এই প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী বলেন, “বাঁদর ধরার জন্য জাল এবং খাঁচা রয়েছে। এবং যারা ধরেন তাঁরাও প্রশিক্ষিত।” এই প্রসঙ্গে ওই বিধায়ক প্রশ্ন করেন, যদি কেউ আক্রান্ত হন, তার জন্য কি ব্যবস্থা রেখেছে সরকার। জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বন্যপ্রাণীর আক্রমণে কেউ মারা গেলে তাঁর জন্য সরকার পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রেখেছে। তাছাড়া পরিবারের একজনের চাকরির বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।”