গোবিন্দ রায়: দাড়িভিটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। অভিযোগ, অশান্তি থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের মাঝে পড়ে প্রাণ হারায় দুই ছাত্র – রাজেশ সরকার, তাপস বর্মন। তা নিয়ে সেসময় রাজ্য রাজনীতির জল গড়িয়েছিল বহু দূর। বাংলার বদলে ওই স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি। বলা হচ্ছিল, বাংলা ভাষার অমর্যাদা করা হচ্ছে। রাজেশ সরকার, তাপস বর্মনকে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে বলে বার বার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় NIA-কে তদন্তভার দেওয়া হয়। মৃত দুজনের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
বুধবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। এনআইএ তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে রাজ্যের দেওয়া আর্থিক সাহায্যের অঙ্ক নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। কারণ, রাজ্যের দেওয়া ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যে সন্তুষ্ট নন ওই দুই ছাত্রের পরিবার। তাঁরা ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তাঁদের আইনজীবীর বক্তব্য, দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ২ লক্ষ টাকা যথেষ্ট নয়। যেহেতু আর্থিক সাহায্যের নির্দিষ্ট কোনও অঙ্ক জানায়নি সিঙ্গল বেঞ্চ। তাই বিষয়টির নিষ্পত্তি করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।