‘এক আত্মীয় অসুস্থ, নগদ টাকা লাগবে, একটু সাহায্য করবেন!’ কাতর মুখে আর্তি যুবকের। অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে নগদ টাকা চেয়ে অনুরোধ করেন তিনি। অনলাইনে টাকা পাঠিয়েও দেন। ৫০০-১০০০ টাকা নয়, একেবারে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। যিনি সাহায্য করলেন, তিনি বুঝতেও পারেননি বড় চক্রান্ত অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। প্রতারণার শিকার হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হাওড়ার যুবক।ইউপিআই স্ক্যানার ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় এক যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিল এক প্রতারক। প্রতারণার শিকার হাওড়া জেলার চেঙ্গাইলের করুনাপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ মহম্মদ ফারহাদ আজম। প্রতারিত যুবক উলুবেড়িয়া থানার দারস্থ হয়েছেন। ফারহাদ জানান, গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ১০ নাগাদ অচেনা এক যুবক চেঙ্গাইলের করুনাপাড়ায় এসে বলে তাঁর এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য নগদ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার প্রয়োজন। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেও তাঁর এখন নগদ টাকার প্রয়োজন। যদি কেউ নগদ টাকা দেয় তাহলে ইউপিআই স্ক্যানারের মাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্টে সে ওই টাকা পাঠিয়ে দেবে।
প্রতারিত যুবক জানান, এই কথা শুনে মানবিক খাতিরে তিনি ওই ব্যাক্তিকে নগদ টাকা দেন। ফরহাদ বলেন ‘ইউপিআই স্ক্যানারের মাধ্যমে আমাকে অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠিয়েও দেন। এরপর আমি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তুলে নিই। পরের দিন আমি আবার আমার অ্যাকাউন্টে ১৬ হাজার টাকা জমা দিই।’
এরপর ২১ তারিখে তিনি আবার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গেলে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স নেই। এমনকি উল্টে অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৪ হাজার টাকা মাইনাস ব্যালেন্স হয়ে গিয়েছে। ফারহাদ জানান, বিষয়টি জানার পর হতবাক হয়ে যাই। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ওই ব্যাক্তি ইউপিআই স্ক্যানারের মাধ্যমে আমাকে টাকা পাঠালেও এরপর ওই টাকা ভুলবশতঃ অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে বলে একটি আবেদন জানিয়ে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিয়েছে।
ফারহাদ জানান, এরপর তিনি ব্যাঙ্কে অভিযোগ করেন। পরে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে ওই ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন। তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা। এতগুলো টাকা প্রতারক হাতিয়ে নেওয়ায় এখন মাথায় হাত ফারহাদের। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ।