রাজ্যপালের মানহানির প্রমাণ কোথায়? প্রশ্ন মমতার আইনজীবীর
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জুলাই ২০২৪
কোনও প্রমাণ ছাড়াই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা রাজ্যপালের মামলায় অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ ছাড়াই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এনিয়ে জানানো হয়েছে মুখ্য়মন্ত্রীর আইনজীবীর তরফে।
মুখ্য়মন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্য়ায়ের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণের স্বার্থে ওই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্যপালের উদ্দেশে তাঁর করা কোনও মন্তব্যই মানহানিকর নয়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে মানহানি হয়েছে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ এই বিষয়টি খতিয়ে না দেখেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।
এর আগে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল মামলাকারীর দাবি অনুসারে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা দরকার। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছিল, রাজ্যপালের মানহানি হয় এমন কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে মুখ্য়মন্ত্রীকে। এনিয়ে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।
হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল একটা প্রাথমিক মামলা করেছিলেন।…যদি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া না হয়, অপর পক্ষকে যদি এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য বলাল সুযোগ দেওয়া হয় তবে তিনি অপূরণীয় ক্ষতি ও আঘাতের মুখোমুখি হবেন।
কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছিল হাইকোর্ট। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলতে পারবেন না। এটা মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। আপাতত বলা হয়েছে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রিয়াদ হোসেন রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।
এর আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, কেউ যদি আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেন তবে তিনি যেই হোন তাকে ভুগতেই হবে। তিনি বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী আমার সাংবিধানিক কলিগ। আমি সেই হিসাবেই তাঁকে মর্যাদা দিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিটা আদালত বিচার করবে।