• রণডিহায় দামোদরের উপরে স্থায়ী সেতুর দাবি
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: বুদবুদের রণডিহায় দামোদরের ওপর স্থায়ী সেতু তৈরির দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দামোদরের একদিকে বাঁকুড়া, অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগাযোগের অন্যতম সহজ পথ এই ফেরি পার হয়ে যাওয়া। গলসি-১ ব্লকের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহার এই ফেরিঘাটের ওপর কয়েক হাজার মানুষ নির্ভর করেন। যাত্রীদের বক্তব্য, দুই বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় যেতে হলে এই ফেরি পার হয়ে যাওয়াই সহজতম পথ। কিন্তু অস্থায়ী এই ফেরিঘাট বেশ বিপদসঙ্কুল। বিশেষ করে বর্ষায় মাল নিয়ে পারাপার করা বিপদের। অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হন। এখানে সেতু হলে বহু মানুষের সুবিধে হবে। গলসি-১ ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল বলেন, আবেদনপত্র এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।

    দামোদরের একদিকে গলসির চাকতেঁতুল, বুদবুদ। অন্যদিকে বাঁকুড়ার সোনামুখী, বনগ্রাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেকদিন ভোর সাড়ে তিনটে থেকে ফেরি পরিষেবা শুরু হয়। সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত তা চলে। বাঁকুড়ার রাধামোহনপুর, নিত্যানন্দপুরের সব্জি বিক্রেতারা প্রতিদিন ভোরে নদী পেরিয়ে বুদবুদ, পানাগড়, মানকর সহ বিভিন্ন হাটে যান। এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, সেতু হওয়া দরকার। সেতু না থাকায় আনাজ নিয়ে ফেরিতে ওঠানামা করতে হয়, যা বেশ বিপদের। তাছাড়া বালির উপর দিয়ে অনেকটা হেঁটে যেতে হয়। আনাজ বিক্রেতা নারায়ণ মণ্ডল বলেন, বাঁকুড়ার দিকে চাতালে অনেকটা অংশ যেতে হয়। জল থাকার ফলে চাতাল পিছল হয়ে থাকে। অনেকেই পড়ে যান। তবু এভাবেই পারাপার করতে হচ্ছে। ছাগল বিক্রেতা শেখ শফিউদ্দিন বলেন, প্রায়ই গলসির বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাগল নিয়ে বাঁকুড়ায় গিয়ে বিক্রি করি। বেশ কয়েকবার ছাগল সমেত চাতালে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছি। গলসির বাসিন্দা আবির দত্ত বলেন, বর্ষার সময়ে ফেরিঘাটে পারাপার করতে ভয় লাগে। তাছাড়া যাত্রীদের বসার জায়গা নেই। ফলে বর্ষার দিনে ভিজতে হয়। নদের জল বেড়ে গেলে চাতাল জলের তলায় চলে যায়। ফেরিঘাটটি অস্থায়ী  হওয়ায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। সেতু হলে অনেক বিপদ এড়ানো যাবে।

    নিত্যযাত্রী অঙ্কন পুরাকাইত বলেন, রণডিহায় স্থায়ী সেতু হলে সকলের সুবিধে হবে। নদী পারাপার করতে দশ টাকা ও গাড়ি থাকলে কুড়ি টাকা ভাড়া দিতে হয়। সেতু হলে সেই খরচ বাঁচবে।-নিজস্ব চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)