সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: নানুরের বাসাপাড়ায় শহিদ দিবস পালনের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ২০০০ সালের ২৭ জুলাই ১১ জন খেতমজুরকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই দিনটিকে ‘সূচপুর দিবস’ হিসাবে পালন করছে তৃণমূল। বাসাপাড়া বাজারে মৃতদের নামাঙ্কিত শহিদ বেদির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও নানুর বিধানসভা জুড়ে রাজনৈতিক কারণে খুন হওয়া আরও ১৪ জনের নামাঙ্কিত পৃথক একটি স্মারক বসানো হবে শহিদ বেদির পাশে। বিগত দিনে যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে এই পদক্ষেপ করেছেন নানুর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ২৭শে জুলাইয়ের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
নানুরের সূচপুর গ্রামে ২০০০ সালে এই দিনে ১১ জন খেতমজুরকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। রাজ্যের তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের বিরুদ্ধে নানুরের তৃণমূল কর্মীদের নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা আজও দগদগে ক্ষত হয়ে রয়েছে নানুর সহ গোটা বীরভূমের বাসিন্দাদের মনে। তৃণমূলও সেই ঘটনা ভোলেনি। ২০০০ সালে নৃশংস ঘটনার পরদিনই নানুর ছুটে এসেছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে না এলেও এই দিনে নানুরে উপস্থিত থেকেছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা।
বোলপুর থেকে নতুনহাট যাওয়ার রাস্তায় বসানো হয়েছে শহিদ দিবসের তোরণ। সভা মঞ্চ নির্মাণের কাজও শুরু হবে। থুপসরা তৃণমূল কার্যালয় রং করার কাজও চলছে। পাশাপাশি ফুল দিয়ে বাসাপাড়া বাজার এলাকা সাজিয়ে তোলা হবে। এই দিনটি মূলত শোকদিবস হলেও জেলা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এক বিশেষ উদ্দীপনা দেখা যায়। এ বছর শুধুমাত্র নানুর বিধানসভা এলাকা থেকেই ৫০ হাজার মানুষ আসবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে গীতা-কোরান পাঠ করে শহিদ-তর্পণ করা হবে।
বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ বলেন, এই দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনার। তৃণমূল করার অপরাধে নৃশংসভাবে ১১ জনকে খুন করা হয়েছিল। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে প্রত্যেক বছর ২৭ জুলাই শহিদ দিবস পালন করা হয়। এই বছরও তা মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হবে।