সংবাদদাতা, বেলদা: মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য চলছে জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে গ্রামের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আর তার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। মোহনপুর ব্লকের একাধিক গ্রামে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে গ্রামবাসীরা দ্বারস্থ হলেন প্রশাসনের। বর্ষার মুখে এই ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানিকে দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের নির্দেশ দিলেন বিডিও।
জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে পাইপ বসাতে খুঁড়তে হচ্ছে রাস্তা। রাস্তার ধার দিয়ে মাটি খুঁড়ে বসানো হচ্ছে পাইপ লাইন। কোথাও কোথাও আবার গ্রামের ভেতরে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে পাইপ বসানোর জন্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানো হলেও পরে সে রাস্তা সারাই করা হচ্ছে না। অল্প বৃষ্টিতেই বেহাল হয়ে যাচ্ছে সেই রাস্তা। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আর তার ফলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। এমনই পরিস্থিতি মোহনপুর ব্লকের ধুইপাড়া, পলাশিয়া, বিকপুরা, নকুদেবেলি, নীলদা, নীলপুরা প্রভৃতি গ্রামের। গ্রামের বাসিন্দা তপন জানা, চন্দন বেরা, অনিল দাসরা বলেন, পাইপ বসানোর কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা মেশিন দিয়ে রাস্তা খুড়ে দিয়ে যাচ্ছে। পরে পাইপ বসিয়ে দিলেও সে রাস্তার সারাই হচ্ছে না।
ফলে গোটা রাস্তা বৃষ্টিতে কাদায় মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে বারবার জানালেও ঠিকাদার সংস্থা কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। শেষমেশ আমরা ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
মোহনপুরের বিডিও জয়ন্ত সাহা বলেন, গ্রামবাসীদের দাবি সঠিক। তাঁরা সত্যিই এই সমস্যায় পড়েছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে জানিয়েছি যাতে দ্রুত এই রাস্তাগুলি তারা মেরামত করে দেয়। কেন না পুরোদমে বৃষ্টি শুরু হলে আরও বেশি করে রাস্তাগুলি বেহাল হয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার এক আধিকারিক জানান, কাজ সম্পূর্ণ না হলে আমাদের পক্ষে রাস্তা সারাই করা সম্ভব নয়। কারণ একই সঙ্গে একাধিক এলাকায় কাজ চলছে। সমস্ত এলাকার কাজ সম্পূর্ণ হলে একসঙ্গে রাস্তাগুলি সারাই করা হবে।
জলের পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়া হচ্ছে রাস্তা।-নিজস্ব চিত্র