সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: বুধবার দুপুরে বাড়িতে থেকে উদ্ধার হল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ। পরিবারের লোকেরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রাণে বাঁচাতে পারেননি। কর্তব্যরত চিকিত্সকরা সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে আশিঘর থানার পুলিস হাসপাতালে পৌঁছয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ছাত্রী ঘোঘেমালি হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। শিলিগুড়ি শহরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোগোমালি নিরঞ্জননগর কলোনিতে তার বাড়ি। এই ঘটনা খুন, নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ধন্দে পুলিস।
এদিন ছাত্রীটিকে মৃত ঘোষণা করতেই জেলা হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির লোকজন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, মঙ্গলবার পাশের বাড়ির এক বান্ধবীর সঙ্গে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সুইটি ঘুরতে গিয়েছিল। বিকেলে ফিরে আসার পর ওই বান্ধবীর মা সুইটিকে বকাবকি করে। বাড়ি ফেরার পরও সুইটি স্বাভাবিক ছিল। এদিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃতার বাবা বলেন, সকাল দশটার সময় আমি টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সেই সময় মেয়ে স্বাভাবিক ছিল। নিজের মতোই ছিল। দুপুরে খবর পাই, আমার মেয়ে বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কেন এই ঘটনা ঘটল, বুঝতে পারছি না। মঙ্গলবার বান্ধবীর মা বকাবকি করায় সেই অভিমানে এই ঘটনা ঘটালো, নাকি কেউ আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিল তা বুঝতে পারছি না। সুইটির বাবার সংযোজন, এত ছোট মেয়ের মনে আত্মহত্যার ভাবনা কীভাবে আসবে? ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিস সঠিক তদন্ত করলেই সমস্ত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এদিকে অভিযোগ পেয়ে পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে শোকের ছায়া এলাকায়। স্থানীয়রা ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।