• এখনও পর্যন্ত বিএতে ভর্তি সর্বোচ্চ, চাহিদায় মাল্টিডিসিপ্লিনারিও
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলেজে স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮৪ জন পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন বিএ কোর্সে। ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৩৭ জন পড়ুয়া চার বা তিন বছরের বিএ কোর্স বেছে নিয়েছেন। বিএসসিতে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪০৫ জন। আর বিকমে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৪২। মাল্টিডিসিপ্লিনারি কোর্সটি গত বছর থেকে চালু হয়েছে। এতে বিভিন্ন শাখার একাধিক বিষয় মিলিয়ে মিশিয়ে পড়া যায়। এবছর শুধুমাত্র মাল্টিডিসিপ্লিনারিতেই ভর্তি হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮৩৫ জন। এটি সব ধরনের অনার্স বা মেজর কোর্সগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ।

    বুধবার পোর্টালে আপগ্রেড করা লিস্ট প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ৬২ হাজার ৪২৩ জনের আসন আপগ্রেডেড হয়েছে। আর নতুন করে আসন পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৮০৪ জন। এই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমবার আবেদন করলেও কোনও কলেজে কোনও আসন পাননি। এমন পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল লক্ষাধিক। তাঁদের মধ্যে এই ৫৯ হাজার পড়ুয়া কলেজ পেলেন। তবে প্রায় পৌনে ১০লক্ষ আসনের নিরিখে এখনও ভর্তি হওয়া মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ভগ্নাংশ মাত্র।

    কলকাতার কোনও কলেজে নয় উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর কলেজে সর্বোচ্চ সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। সংখ্যাটি হল ২ হাজার ৯৩৫। দার্জিলিংয়ের সোনাদা ডিগ্রি কলেজে সর্বনিম্ন, মাত্র ৩০ পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। দপ্তরের তথ্য বলছে, অদ্বৈত বেদান্ত কোর্সটিতে পড়ুয়ার ভর্তির সংখ্যা সর্বনিম্ন। সংস্কৃত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দু’জন এই বিষয়ে ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান শাখায় কম ভর্তির হার বিগত বছরগুলির মতো এবারও শিক্ষাদপ্তরের মাথাব্যথার কারণ। অনেকের দাবি, জয়েন্টের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হলে পড়ুয়াদের একাংশ সাধারণ ডিগ্রি কলেজে বিএসসি’র আসন ভরাবেন।

    জয়েন্ট বোর্ডে মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় দফার সিট অ্যালটমেন্ট তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যদিও কতজন রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কতজনকে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে তা জয়েন্ট বোর্ড জানাতেই পারছে না বলে অভিযোগ। আধিকারিকদের দাবি, ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি) তাদের কোনও তথ্য দিচ্ছে না।
  • Link to this news (বর্তমান)