নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বনসৃজনের জন্য চারাগাছ নিতে বিধায়কদেরই আগ্রহের অভাব। এই প্রবণতায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বনসৃজনের জন্য বিধায়কদের বছরে এক হাজার করে গাছের চারা দেয় বনদপ্তর। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বনমন্ত্রী বলেন, ‘হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র বিধায়ক চারা নেন। আগ্রহের অভাবের কারণে এখন থেকে যে বিধায়করা চাইবেন শুধুমাত্র তাঁদেরই যত চাইবেন ততগুলি চারা দেওয়া হবে। পাশাপাশি গাছ রোপণের পর সেগুলির ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে কি না বনদপ্তর সেদিকেও বিশেষ নজর রাখবে।’ এ বিষয়ে বিজেপির অশোক লাহিড়ী বলেন, ‘এডিবি’র বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশে গিয়ে তিনি দেখেছেন স্থানীয় মহিলাদের চারাগাছ দেওয়ার পর তা ঠিকমতো পরিচর্যা করলে কিছু টাকা তাঁদের দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা এখানে চালু করা যেতে পারে।’ বনমন্ত্রী অবশ্য সাফ জানান, যে বিধায়করা চারাগাছ নেবেন তাঁদেরই তা রক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিধায়কদেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব আছে।
এর পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, গত দুই আর্থিক বছরে দেড় কোটিরও বেশি চারাগাছ রোপণ করেছে দপ্তর। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে বনসৃজন হয়েছে। এর পাশাপাশি আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির প্রশ্নের উত্তরে বীরবাহা জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের নিরিখে রাজ্যের বনাঞ্চলে ৩১.৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হওয়ায় ওই এলাকার জমি তার আসল চরিত্র হারিয়েছে। আর তৃণমূলের রফিকুল ইসলাম মণ্ডলের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা গত ২০১০ সালে ছিল ৭৪। ২০২২ সালে শেষ বাঘ গণনায় তা বেড়ে ১০১ হয়েছে। বাঘের সংরক্ষণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কত টাকা খরচ করা হয়েছে সেই তথ্যও সভায় জানান মন্ত্রী।