নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাধ্যমিকের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের আবেদন এবছর থেকে অনলাইনে শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এই রেজিস্ট্রেশন চলছে। তবে, তা নিয়ে শিক্ষক-প্রধান শিক্ষকদের একাংশের তরফে একটি প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাদের দাবি, রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে পড়ুয়ার ওই স্কুলে ভর্তির ক্লাস হিসেবে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির উল্লেখ রয়েছে। যেসব ছাত্রছাত্রী পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে, তা উল্লেখ করার জায়গা নেই। এতে ভুল তথ্য যাবে এবং ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যতে চাকরি বা স্কলারশিপের ক্ষেত্রে সমস্যায়ও পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে সেই মহলের দাবি, সরাসরি বাংলার শিক্ষা পোর্টাল থেকে তথ্য নেওয়া হোক। অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন এই সমস্যার কথা জানিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে চিঠিও দিয়েছে। তবে, পর্ষদ এটিকে কোনও সমস্যা বলতে নারাজ। এক শীর্ষকর্তা বলেন, অধিকাংশ স্কুলই নির্দিষ্ট ফরম্যাটে তথ্য জমা দিয়েছে। কিছু জায়গায় ৪০-৫০টি স্কুল এ নিয়ে সমস্যা করছে। পঞ্চম শ্রেণি পর্ষদের আওতার বাইরে। তাই সেটি দেওয়া হয়নি। কোন বছরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে, তা উল্লেখ করে দিলে তা ভুল হওয়ার কথা নয়। মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণি একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনেও মাধ্যমিক থেকে তথ্য থাকে। তাহলে এটা নিয়ে এত শোরগোল কেন? পর্ষদের ব্যাখ্যা, কিছু স্কুলে অননুমোদিত স্কুল থেকে উঁচু ক্লাসে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হয়। অথচ তাদের দেখানো হয় পঞ্চম শ্রেণি থেকে। এর বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ওঠে। এরকম স্কুলগুলির সমস্যা হওয়ার কথা। সংগঠনগুলিকে সেই স্কুলগুলি হয়তো ভুল বোঝাচ্ছে।