• দু’টি ওয়ার্ডে ভরাট পুকুর পুনরায় খনন শুরু করল বৈদ্যবাটি পুরসভা
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: পুকুর বোজানো রুখতে হুগলির পুরসভাগুলি কমবেশি পদক্ষেপ করে। কিন্তু পুকুর বোজানো রুখে দেওয়াই শুধু নয়, ভরাট পুকুর পুনরায় খননের কাজ শুরু করল হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভা। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পীরতলার একটি বুজিয়ে ফেলা পুকুর বুধবার থেকে খনন শুরু হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত নিজে সেখানে উপস্থিত থেকে কাজ শুরু করান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুর খোঁড়ার যন্ত্র পীরতলা এলাকায় ঢুকতে না পারলেও পুরকর্তাদের নির্দেশে শ্রমিক নামিয়ে কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুজিয়ে দেওয়া পুকুরও এদিন থেকে পুরসভার তত্ত্বাবধানে খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। 

    চেয়ারম্যান পিন্টুবাবু বলেন, ‘পীরতলার পুকুর বোজানোর কাজ আগেই রুখে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন, কৌশলে ওই পুকুর ফের বোজানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাই এদিন নতুন করে পুকুর খননের কাজ আমরা শুরু করেছি। আমরা এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছি। অনেক প্রয়াসের পর আমরা বৈদ্যবাটিতে একটি পরিবেশ বান্ধব পরিস্থিতি তৈরি করতে পেরেছি। তা বানচাল করার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। শহরের সর্বত্র অবৈধভাবে ভরাট করা পুকুর আমরা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব।’ 

    হুগলি জেলায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ নতুন নয়। জেলা সদর চুঁচুড়া থেকে ঐতিহ্যের শহর চন্দননগর, এমনকী গ্রামীণ হুগলিতেও পুকুর ভরাটের ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। পুরসভা বা পঞ্চায়েতের আবর্জনা দিয়ে কৌশলে পুকুর বুজিয়ে ফেলা কার্যত একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে শাসক দলের নেতানেত্রীদের বারবার পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। 

    তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, অবৈধভাবে ভরাট করা পুকুর পুনরুদ্ধারের কাজ বিশেষ হয়নি। এই আবহে বৈদ্যবাটি পুরসভার তত্ত্বাবধানে একাধিক পুকুর খননের কাজ নজর কাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে পরিষেবার একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে পুরস্কার পেয়েছে বৈদ্যবাটি। তাদের এই উদ্যোগও আম জনতা সহ বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)