নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: প্রতিবছরই বর্ষায় জলমগ্ন হয় একাধিক ওয়ার্ড। এবার মানুষের যন্ত্রণার মুক্তি ঘটাতে উদ্যোগী হল হাবড়া পুরসভা। ২৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে হাবড়া শহরের দু’টি জায়গায় তৈরি হয়েছে ‘বুস্টার পাম্পিং স্টেশন’। ফলে হাবড়ার পাশাপাশি অশোকনগর পুরসভাতেও জলযন্ত্রণার মুক্তি ঘটবে বলেই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। ২৭ জুলাই, শনিবার বিকেলে বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের উদ্বোধন হবে। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার সহ প্রশাসনিক কর্তারা।
হাবড়া পুরসভা এলাকার চেহারা অনেকটা কড়াইয়ের মতো। এলাকার জলের পাশাপাশি অশোকনগর ও হরিণঘাটা থেকেও জল এসে সেখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমে। হাবড়া পুরসভার ৭, ৮ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই জলযন্ত্রণা প্রতি বর্ষাতেই তীব্র হয়। অন্যদিকে, জমা জল বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। এনিয়ে এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। তাই হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে দু’টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। একটি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে, অন্যটি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এই দুই এলাকাতে মূলত জল মাসের পর মাস জমা হয়ে থাকত।
হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, এলাকার মানুষের এই জলযন্ত্রণা ছিল দীর্ঘদিনের। বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে এই কাজটি হয়েছে। এর ফলে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও হাবড়া আর জলমগ্ন থাকবে না। মানুষ এই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
হাবড়া পুরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোপাল পাল বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে যায়। ফলে মানুষের বাড়ির বাইরে বের হওয়াও সমস্যার হয়ে যায়। একই সঙ্গে বিভিন্ন জলবাহিত রোগেরও প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন সঠিকভাবে কাজ করলে দীর্ঘদিনের সেই যন্ত্রণার মুক্তি ঘটবে। আরেক বাসিন্দা শিউলি দেবনাথ বলেন, দু’টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন হলে মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে। তবে, এগুলি যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সেই দিকে নজর রাখতে হবে পুরসভাকে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন।-নিজস্ব চিত্র