নদী বাঁধে ধস ঠেকাতে ম্যানগ্রোভ, খেজুর ও তাল গাছ রোপণ করবে পঞ্চায়েতগুলি
বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বর্ষা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই নদীমাতৃক এলাকায় বাঁধ নিয়ে আতঙ্কের শেষ থাকে না গ্রামবাসীদের। বৃষ্টি বা জলের ঝাপটায় মাটির বাঁধ ধসে প্লাবিত হয় গোটা গ্রাম। তাই কংক্রিট বাঁধের দাবি নিয়ে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন নদীমাতৃক এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু সেই কাজ কবে হবে, সেজন্য বসে না থেকে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে পাথরপ্রতিমায়। নদী বাঁধের মাটি যাতে ধসে না পড়ে, তার জন্য বাঁধের একদিকে ম্যানগ্রোভ চারা এবং আরেকদিকে খেজুর ও তাল গাছ পোঁতা হবে। তাতে বাঁধের মাটি ধরা রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। পরীক্ষামূলকভাবে পাথরপ্রতিমার ১৮-২০ কিলোমিটার বাঁধে এই কাজ করবে বিভিন্ন পঞ্চায়েত। সেখানে সফল হলে বাকি জায়গাতেও সেটা প্রয়োগ করা হবে। বিধায়ক সমীর জানা বলেন, নদীর ঝাপটা সামাল দেওয়ার জন্য ম্যানগ্রোভ গাছ থাকবে। অপরদিকে তাল ও খেজুর গাছ লাগিয়ে মাটি ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে পরীক্ষামূলকভাবে। বাঁধ রক্ষার পাশাপাশি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার কাজও হবে।
সুন্দরবনের এই ব্লকে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার নদী বাঁধ রয়েছে গোটা বিধানসভা জুড়ে। কিন্তু সর্বত্র কংক্রিট বাদ তো দূর অস্ত, উপযুক্তভাবে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণও বেশ কঠিন। তাই আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকা বেছে সেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন বিধায়ক। খেজুর গাছের বীজ সংগ্রহ করা শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। তারপর পরিকল্পনামাফিক চিহ্নিত জায়গায় এইসব গাছ রোপণ করে বছর দুয়েক পর্যবেক্ষণ করবেন পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। কেন খেজুর ও তাল গাছ পোঁতা হবে? বিধায়কের কথায়, এই দু’টি গাছের সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন পড়ে না। বীজ পুঁতে কিছুদিন দেখভাল করলেই সেটি বেড়ে ওঠে। মাটি ধরে রাখার ক্ষমতাও রয়েছে এই গাছের শিকড়ের। নিজস্ব চিত্র