• হর্নের তীব্রতায় বেহালা চৌরাস্তায় পথচারীদের কান ঝালাপালা অবস্থা  
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • সোহম কর, কলকাতা: বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো এসেছে বেহালায়। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। সেই সঙ্গে নতুন এক সমস্যায় পড়েছে বেহালাবাসী। বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় মেট্রো স্টেশনের ঠিক নীচে ট্রাফিক সিগন্যাল। সেখানে কোনও গাড়ি হর্ন দিলে তা তীব্র শব্দে পরিণত হচ্ছে। কার্যত গোটা রাস্তাই মেট্রো স্টেশনের বিল্ডিংয়ে ঢেকে থাকার কারণে এই পরিস্থিতি। শব্দ বেরতে না পেরে একটি অবরুদ্ধ জায়গায় ধাক্কা খেয়ে কয়েকগুণ তীব্র হচ্ছে বলে দাবি ভুক্তভোগী যাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকী, মাঝেমধ্যে পরিস্থিতি এমন হচ্ছে যে তীব্র শব্দে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন কারও  কথা শুনতে পাচ্ছেন না! 

    বেহালা চৌরাস্তা মেট্রো স্টেশনের কাছে রয়েছে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানেই বাসস্ট্যান্ড, অটো স্ট্যান্ড, বাজার। ফলে সারাক্ষণ ওই এলাকা জমজমাট হয়ে থাকে। ওই অবস্থায় সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলি হর্ন বাজালে গোটা চত্বরে শব্দের চোটে কান পাতা দায় হয়ে উঠছে। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, যদি ওই সিগন্যাল কিছুটা আগে বা পিছনে সরানো যায়, তাহলে এই শব্দদানবের হাত থেকে খানিক নিস্তার মিলবে। এ বিষয়ে বেহালা পরিবেশ গোষ্ঠীর তরফে আগামী শনিবার চৌরাস্তায় একটি প্রচার কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে আহ্বান জানানো হবে, মেট্রো স্টেশনের নীচের চত্বরে চালকরা যেন গাড়ির হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকেন। 

    শুধুমাত্র গাড়ির হর্নেই সমস্যা হচ্ছে, এমন নয়। নিত্যদিন এই রাস্তা দিয়ে বাইক রেসিং চলে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। সেসব বাইকের কান ফাটানো আওয়াজ এই এলাকায় আরও অসহ্য হয়ে ওঠে। স্থানীয় এক মহিলার কথায়,  ‘এখানে ফোন এলে কথাই বলা যায় না। যিনি ফোন করেছেন, তিনি কিছুই শুনতে পান না। আমিও শুনতে পাই না। এই এক নতুন সমস্যা হয়েছে।’ একই অবস্থা বাইপাসের উপর কাদাপাড়ায় বেঙ্গল কেমিক্যাল মেট্রো স্টেশনেও। কিন্তু ওই এলাকায় পথচলতি মানুষের সংখ্যা বেহালা চৌরাস্তার মতো এতটা বেশি থাকে না। তাই ভুক্তভোগীদের সংখ্যাও কম। বেহালা পরিবেশ গোষ্ঠীর তরফে পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘বেহালা চৌরাস্তা এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। ওখানে একটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চোখের হাসপাতাল আছে। একটি স্কুলও আছে। এত শব্দ হয় যে পাশাপাশি দাঁড়িয়েও চিত্কার করে কথা বলতে হয়। আমাদের বক্তব্য, ওই ট্রাফিক সিগন্যাল কিছুটা সরিয়ে মেট্রো স্টেশনের বাইরে করে দেওয়া গেলে সমস্যা কমবে। এনিয়ে আমরা কলকাতা পুলিস ও পুরসভাকে চিঠি দেব বলে ঠিক করেছি।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)